প্রিন্ট এর তারিখঃ জুলাই ২, ২০২৫, ৯:২৪ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ আগস্ট ৪, ২০২২, ৫:৩০ অপরাহ্ণ
জমি জমা নিয়ে শত্রুতার জেড় ধরে অর্ধ শতাধিক বিভিন্ন ফল গাছ কেটে ফেলে হুমকির অভিযোগ

পিরোজপুর প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার হোগলাপাশা ইউনিয়নের বোলপুর এলাকায় মাঝি বাড়ি জমি জমা নিয়ে শত্রুতার জেড় ধরে অর্ধ শতাধিক বিভিন্ন ফল গাছ কেটে ফেলে হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (০৪ আগষ্ট) সকালে জণসন্মূখে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন জমির মালিক আলহাজ¦ আব্দুল আউয়াল এর পুত্র আব্দুল আলিম।
আব্দুল আলিম জানান, হোগলাপাশা ইউনিয়নের বোলপুর এলাকায় মাঝি বাড়ির সামনে প্রায় সত্তর বছর ধরে তার পিতা মৃত আলহাজ¦ আব্দুল আউয়াল ৪০ শতাংশ জমি ভোগদখল করে আসছিলেন। আম, কাঁঠাল, জাম, পেয়ারা, তেজপাতা, অর্জুন সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফল ও ঔষধী গাছ রোপন করেছিলেন তিনি। তিনি আরো জানান তার সৎ চাচা আব্দুল আখের মিয়ার নির্দেশে এলাকার কিছু ভূমি দস্যু তাদের ৪০ শতাংশ উপরে অর্ধশতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির ফল ও ঔষধী গাছ কেটে ফেলে এবং তাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিতে থাকে। পরে তিনি পুলিশের কল সেন্টারে ফোন করে বিষয়টি জানালে পুলিশ এসে গাছ কাটতে বাধা দেয়। তিনি আরো জানান তার বাবার নামে দলিল করা জায়গায় জোর করে প্রভাব বিস্তার করে তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে চায় সৎ চাচা আব্দুল আখের মিয়া ও তার লোকজন।
এলাকার আব্দুল হাকিম খন্দকার জানান, গাছ কেটে ফেলা জমিটি মৃত আলহাজ¦ আব্দুল আউয়াল দির্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছে। বৃহস্পতিবার সকালে আব্দুল আখের মিয়ার লোকজন এসে গাছ কাটা শুরু করলে এ নিয়ে অনেক বাক বিতান্ডাও হয়েছে। অনেক লোক জড়ো হয়েছিল গাছ কাটার সময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মৃত আলহাজ¦ আব্দুল আউয়াল মিয়ার ছোট ছেলে মান্নান সাইফুল জানান, হোগলাপাশা ইউনিয়নের বোলপুর এলাকায় মাঝি বাড়ির সামনের জমিটি আমার বাবা দির্ঘদিন ধরে ভোগদখল করার পরে বাবার মৃত্যুও পরে আমরা ভাইয়ে ভোগদখল করতেছি। আমার ভাই আব্দুল আলিম বাড়িতে একা থাকার সুযোগে লোকজন দিয়ে ভূমিদস্যু আব্দুল আখের মিয়া আমাদের বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছিলো এবং আমাদের ভূমিহারা করতে চায়। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমাদের অর্ধ শতাধিক ফলের গাছ কেটে ফেলেছে। আমরা এর সুষ্ট বিচার চাই।
হোগলাপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: ফরিদুল ইসলাম ফরিদ জানান, গাছ কেটে ফেলার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যকে তদন্ত করে বিষয়টি দেখতে বলেছি। এর আগেও তাদের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ মীমাংসার জন্য আমরা বন্টননামা করে বীরোধ মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছিলো।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ আবু সাহিদ। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: রাশেদা ম্যানশন, ৯৮৬, মধ্যম রামপুর হালিশহর, চট্টগ্রাম | যোগাযোগ: 01869-600700, E-mail: [email protected]
Powered by somoyernews.com | Designed by F.A.CREATIVE FIRM LTD.