
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ মীরসরাইয়ে ট্রেন- মাইক্রোবাস দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় টানা ৭ দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন আয়াতুল ইসলাম আয়াত (১৭)। সে হাটহাজারী উপজলোর চিকনদন্ডী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সিএনজি চালক আব্দুল শুক্কুরের পুত্র।এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১২। শুক্রবার (৫ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন প্রথম থেকে আয়াতের অক্সিজেন স্যাচুরেশন কম ছিল।তাই তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আমাদের প্রথম থেকেই শঙ্কা ছিল তাকে নিয়ে। কারণ দুর্ঘটনায় তার মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত পায়। এর পর থেকে জ্ঞান ফিরেনি তার। এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে তার অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। স্থানীয় ইউপি সদস্য তোফাইল আহমেদ জানান,আজ দুপুর দেড়টায় আয়াতের মৃত্যুর খবর আমরা জানতে পারি।আজ রাত দশটায় স্থানীয় ছমদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তার জানাযা। উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই খৈয়াছড়া ঝর্ণা ঘুরে ফেরার পথে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়ায় রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ১১ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ৬ জন। তারা সবাই হাটহাজারী উপজেলার আমানবাজার এলাকার ‘আর অ্যান্ড জে’ নামক একটি কোচিং সেন্টারের ছাত্র ও শিক্ষক।