সময়ের নিউজ ডেস্কঃ পৈতৃক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের মূল হোতা কথিত ভূমিদস্যু মাহাবুব আলম এর মানসিক নির্যাতন ও হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের স্হায়ী বাসিন্দা ভুক্তভোগী শামসুন নাহার ভূইয়ার পরিবার। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে নিজ বাস ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী শামসুন নাহার ভূইয়া।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে তার নিজ দখলীয় সম্পত্তিতে আদালতের চলমান বাটোয়ারা মামলাকে তোয়াক্কা না করে জোরপূর্বক সম্পত্তি আত্মসাতের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে উক্ত ভূমিদস্যু মাহাবুব আলম। মামলা নং -২৭৫/২০১৮, ২য় জেলা যুগ্ম আদালত, চট্টগ্রাম।
ভুক্তভোগী আরো জানান, মাহাবুব আলম তার বোন কামরুন নাহার ইভার কাছ থেকে ২০২০ সালে জায়গা ক্রয় করেছেন বলে দাবি করেন। অথচ তার একমাত্র ছোটো বোন কামরুন নাহার ২০১৮ সাল থেকেই নিখোঁজ রয়েছে। এ ব্যাপারে হালিশহর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা আছে। জিডি নাম্বার- পি আর ১০৯৪/১৮। তার কোনো সন্ধান এখনো পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছেনা।
মাহবুব আলম উক্ত জায়গাটি তার দখলে আছে বলে নামজারী করার চেষ্টা করলে ভূমি অফিস থেকে সার্ভেয়ারের মাধ্যমে সরেজমিনে জরিপে গেলে কর্তব্যরত সার্ভেয়ার প্রত্যক্ষ জায়গায় মাহবুব আলমের অবস্থান না থাকায় এবং মামলার সাইনবোর্ড দেখে মাহবুব আলমের অসাধু প্রক্রিয়ার কথা জানতে পারে এবং উপযুক্ত প্রমাণাদি সংগ্রহ করে তৎক্ষনাৎ তার নামজারি খারিজ করে দেয়।
এছাড়াও ভুক্তভোগী শামসুন নাহার মামলা চলাকালীন অবস্থায় বোনের জায়গাটি ক্রয়ের জন্য আদালতে buy up চায় এবং অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে আদালত উক্ত আর্জি মঞ্জুর করেন। এরপরও উক্ত ভূমিদস্যু মাহাবুব আলম বিভিন্ন উপায়ে জমি দখলের পায়তারা করছে এবং বিভিন্ন সময় প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছেন। এই কারণে শামসুন নাহার ভূইয়া ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও র্যাব-৭ অধিনায়কের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। এসময় সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শামসুন নাহার এর স্বামী আরেফিন সহ প্রতিবেশীরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ আবু সাহিদ। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: রাশেদা ম্যানশন, ৯৮৬, মধ্যম রামপুর হালিশহর, চট্টগ্রাম | যোগাযোগ: 01869-600700, E-mail: [email protected]
Powered by somoyernews.com | Designed by F.A.CREATIVE FIRM LTD.