সন্দ্বীপে রাজিবুল আহসান সুমন এর গাড়ি বহরে হামলা,অভিযোগের তীর সাংসদ মিতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সন্দ্বীপে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুবলীগ সভাপতি প্রার্থী রাজিবুল আহসান সুমন আয়োজিত বৃক্ষ রোপন ও বিতরন কর্মসূচীর প্যান্ডেল ভাংচুর এবং গাড়ি বহরে হামলা করে একদল স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী ।

সুত্র মতে জানা যায়, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুবলীগ সভাপতি প্রার্থী রাজিবুল আহসান সুমন জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সমন্বয় রেখে আগষ্ট মাসে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এর অংশ হিসাবে গতকাল ১৮ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় স্থানীয় মুছাপুর জেবেন্নুর সুলতান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৃক্ষ রোপন ও বিতরনের জন্য একটি বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। জনাব রাজিবুল আহসান সুমন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য উক্ত অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মাষ্টার শহিদ উল্লা, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য আলহাজ্ব ফোরকান উদ্দিন আহমেদ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, চেয়ারম্যান আবুল খায়ের নাদিম কে অতিথি হিসাবে রাখা হয়। এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উক্ত সভায় দাওয়াত প্রদান করা হয়।

সুত্র মতে, বিগত ১৫ দিন আগে ঘোষিত উক্ত কর্মসুচি সফল করতে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দিদারুল আলম কে আহ্বায়ক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি বৃক্ষ রোপন ও বিতরন কর্মসূচী’র সভা সফল করার জন্য কাজ করে। ইতিমধ্যে সভাস্থলে বিশাল প্যান্ডেল, ১০০০ গাছের চারা, আগতদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা সহ যাবতীয় আয়োজন সম্পন্ন করেন। এরমধ্যেই গতকাল রাত ১২টায় সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জনাব রাজিবুল আহসান সুমনকে ফোন করে জানান তাঁর অনুষ্ঠান স্থলে ছাত্রলীগের একটি অংশ আরেকটি সভা আহবান করেছে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর তিনি গভীর রাতে জেলা পুলিশ সুপার কে বিষয়টি অবহিত করেন এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বৃক্ষ রোপন ও বিতরন কর্মসূচীর অনুষ্ঠানটি যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য চান। সেই মোতাবেক বৃক্ষ রোপন ও বিতরন কর্মসূচী ‘র শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য জেলা পলিশের সহকারী সুপার আশরাফুল ইসলাম নেতৃত্ব ৫০ জন পুলিশ সদস্য গতকাল সকাল ৮ টায় সন্দ্বীপ পৌঁছান। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য রাজিবুল আহসান সুমন গতকাল সকাল ১১ টায় সন্দ্বীপ ঘাটে পৌঁছলে সেখানে শত শত নেতা কর্মী তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। পরে তিনি বিশাল মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে সমাবেশে যাওয়ার পথে স্থানীয় এনাম নাহার মোড়ে মোটর শোভাযাত্রায় হামলা করে একদল স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী ।

এতে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা বেলাল উদ্দিন সুমন, দিলদার, সোহাগ, ভুট্রো, সাদ্দামসহ ৩০ নেতা কর্মী আহত হন এবং ১৫ টির বেশি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। গাড়ি বহরে হামলা চলাকালে রাজিবুল আহসান সুমন তাঁর নেতা কর্মীদের রক্ষার জন্য ডিআইজি ও জেলা পুলিশ সুপারের সাথে বার বার কথা বলে হামলাকারীদের দমানোর অনুরোধ করেন। সার্কেল এএসপি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহ উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা হামলাকারী সন্ত্রাসীদের নিভৃত করেন।

পরে রাজিবুল আহসান সুমন উদ্ভত পরিস্থিতি নিয়ে সার্কেল এএসপি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাথে বৈঠক করেন এবং বৈঠকে তিনি তাঁর গাড়ি বহরে নেতা কর্মীদের উপর হামলার জন্য স্থানীয় সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতাকে দায়ী করেন এবং হামলাকারী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান।

এই বিষয়ে মুঠোফোনে সন্দ্বীপের সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন এটা যুবলীগের অভ্যান্তরীন দ্বন্দ্ব।উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী রাজিবুল আহসান সুমন, ও সাধারন সম্পাদক প্রার্থী লায়ন মিজানুর রহমানের দ্বন্দ্ব ইহা আমাদের লোকের কাজ কি? তিনি আরো বলেন সময় যত ঘনিয়ে আসছে তাদের মধ্যে উত্তেজনা ততই বাড়তেছে।