আসিফুজ্জামান সারাফাতঃ ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট তৎকালীন চার দলীয় জোট সরকারের শাসন আমলে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ২১ আগষ্ট রবিবার বিকালে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে যুবলীগ নেতা দেবাশীষ পাল দেবু'র আয়োজনে একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার দন্ডিত আসামী তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে দন্ড কার্যকরের দাবীতে আয়োজিত এক বিশাল প্রতিবাদ সভা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন নগর যুবলীগ নেতা জাকের আহম্মদ খোকন সঞ্চলনা করেন যুবলীগ নেতা আনিফুর রহমান লিটু। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করর্পোরশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য, এম. এ. লতিফ। বিশেষ বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য ও নগর যুবলীগ নেতা দেবাশীষ পাল দেবু।
এ সময় প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন,"দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া নেতার কর্মীদের হুঙ্কারে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা ভয় পায় না। পালানোর ইতিহাস আওয়ামীলীগের নাই। ৭১ এ খালি হাতে পাকি সেনাবাহিনীর মুখোমুখি হয়েও আওয়ামীলীগ পালায়নি। ʼ৭৫ এর ১৫ আগস্টের কাল রাতে তৎকালীন সেনা প্রধান জেনারেল শফিউল্লাহর ঘর ছেড়ে নিরাপদে পালিয়ে যাওয়ার আহ্বান স্বত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু খালি হাতে ঘাতকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন, পালিয়ে যাননি। তাই এতিমের টাকা আত্মসাৎকারী, গ্রেনেড হামলার দন্ডিত আসামী, বিদেশের মাটিতে পালিয়ে থাকা তারেক জিয়া ও তার কর্মীদের আন্দোলনের আস্ফালন আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা রাজপথেই মোকাবিলা করবে।
প্রধান বক্তা এম. এ. লতিফ এমপি বলেন, "আওয়ামীলীগের অবস্থান জনগণের অন্তরে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী উন্নয়নের মাধ্যমে এই আস্থা সৃষ্টি করেছেন। যুবলীগের নেতা কর্মীদের উন্নত নৈতিক আচরণ দিয়ে সাধারণ জনগণের কাছে দলের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির কাজ করে যেতে হবে।।
সমাবেশে বিশেষ বক্তা যুবলীগ নেতা দেবাশীষ পাল দেবু বলেন,"চট্টগ্রামের রাজপথে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির যেকোন প্রচেষ্টা যুবলীগের নেতা কর্মীরা প্রতিহত করবে। এজন্য সংগঠনকে শক্তিশালী করতে সকল নেতাকর্মীদের বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।"
সভায় যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ সম্পাদিত ’বিপ্লব ও মানবিকতা’ বই উপহার দেন অনুষ্ঠানে আগত অতিথি ও নেতা-কর্মীদেরকে। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লবণ ঘাট শ্রমিক লীগের সভাপতি আবদুল মতিন মাষ্টার, শ্রমিক লীগ নেতা ইমাম হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আকতারুজ্জামান,সেকান্দর আজম, নায়েবুল ইসলাম ফটিক, সুফিউর রহমান টিপু, নুরনবী পারভেজ, রঞ্জিত কুমার, এস এম আতিকুর রহমান, লোকমান, রায়হান নেওয়াজ সজীব, মারুফ আহমেদ সিদ্দিক, ইমতিয়াজ আহমেদ বাবলা, রাশেদ চৌধুরী,জাহিদ হাসান খোকন, ইমতিয়াজ সুমন,সালাউদ্দিন বাবর,ফরহাদ আবদুল্লাহ,রেজাউল করিম মামুন,মাকসুদুল আলন জিকু,সাজ্জাদ আলী জুয়েল, সালাউদ্দিন, সোহেল রানা, কাজী আরিফ,শাহজাহান বাপ্পি,জহির রায়হান, সরওয়ার হোসেন, মারুফুল ইসলাম মারুফ, এমরান হোসাইন, ইকবাল হোসেন রাজু, যুবায়ের হোসেন অভি, সাজিবুল ইসলাম সজীব, মোঃ দিদারুল আলম, ইয়াছিন আরাফাত, ইকবাল হোসেন রাজু, সাদ্দাম হোসেন জয়,রমজান আলী, হানিফ,আবু নাসের জুয়েল,সহ অনান্য নেতৃবৃন্দ।