মো. তাসলিম উদ্দিন, সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় রাস্তা খুব সরু হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে লোকজন চলাচল করছেন নাক চেপে। এ রকম দৃশ্যের দেখা মিলছে সরাইল-ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোড় চৌরাস্তার দক্ষিণ পশ্চিম দিকে কুমিল্লা-সিলেট গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায়। রাস্তার পাশে থাকা খালে মার্কেট ও বিভিন্ন ময়লা জমতে জমতে কোথাও কোথাও তা বিশাল রাস্তার অর্ধেক অংশ দখল করে ফেলেছে। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে বিশ্বরোড়বাসী।পথচারীরা প্রতিদিন এসব রাস্তা দিয়ে নাক চেপে হাঁটতে হয়। ময়লায় রাস্তার অর্ধেক দখল হয়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।আবার যানবাহন ধীরে চলায় বেশি সময় ধরে দুর্গন্ধ সহ্য করতে হয় যাত্রী ও পথচারীদের। ময়লা পাশেই সিএনজি স্ট্যান্ড ও রশীদ মার্কেট।
রোববার (৪সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোড়ে সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে দোকানের ও জব করা গরুর ময়লা ফেলছেন। আবর্জনাগুলো জমা হতে হতে রাস্তায় এসে পড়ছে। সরাইল থেকে জেলাশহরে যাওয়ার রাস্তায়, এতে মূল রাস্তা অর্ধেক হয়ে গেছে।এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন দোকান থেকে সংগৃহীত ময়লা-আবর্জনা এনে জড়ো করে রাখা হয় এসব রাস্তার পাশে। এসব ময়লা-আবর্জনা ঠিক সময়ে না সরানোয় রাস্তাগুলো ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় রাস্তা ছোট হয়ে গেছে।
বিশ্বরোড় চৌরাস্তা থেকে রশীদ মার্কেট দিকে হেঁটে আসার সময় নাক চেপে ধরে যাচ্ছিলেন সিপা আক্তার। তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড গরম আর দুর্গন্ধ। নাক চেপে না গেলে মারা পড়তে হবে।’ তাঁর অভিযোগ, দোকানের তারা এখানে ময়লা জমাতে জমাতে পুরো রাস্তাটাই ডাস্টবিন করে ফেলেছে।
অটোরিকশাচালক যানটি থামিয়ে বলেন, ভোর সকাল থেকেই ময়লা ফেলা শুরু হয়। বিকেল হতে হতেই ময়লা জমে রাস্তায় এসে পড়ে। এসব আবর্জনা রাস্তায়ই পড়ে থাকে বলে তিনি অভিযোগ করেন। পথচারী মজিবের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে এ রাস্তা দিয়ে যাওয়া যায় না। দুর্গন্ধে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। তাই নাক-মুখ চেপে চলতে হয়। তাঁর অভিযোগ, ময়লাগুলো দোকানের হেরা রাস্তায় ফেলে রেখে যান।এ সমস্যা থেকে মুক্তি চান তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) সুখেন্দ্র বসু এ প্রতিনিধিকে বলেন,গত কয়েক দিন আগে সড়ক বিভাগের এরা পরিস্কার করে ছিল, এ বিষয়ে সড়ক বিভাগের লোকদের জানানো হবে বলে তিনি বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া (সওজ) সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পংকজ ভৌমিক এ প্রতিনিধিকে ময়লার কথা স্বীকার তিনি বলেন, রাস্তায় ফোর লেনের কাজ চলতেছে। এদিকে যখন রোড়ের কাজ শুরু হবে এ ময়লার সমস্যা থাকবেনা। বতর্মান অবস্থার, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,আমরা কিছু দিন আগে উচ্ছেদ অভিযান করেছি। তবে এখানে তারা কথা শুনেই না। দ্রুত এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ আবু সাহিদ। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: রাশেদা ম্যানশন, ৯৮৬, মধ্যম রামপুর হালিশহর, চট্টগ্রাম | যোগাযোগ: 01869-600700, E-mail: somoyernews24office@gmail.com
Powered by somoyernews.com | Designed by F.A.CREATIVE FIRM LTD.