পিরোজপুর প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অবহেলিত দক্ষিনাঞ্চলের উন্নতির জন্য আমরা চেষ্টা করছি। এ সেতুর ফলে পিরোজপুর জেলার পেয়ারা-আমড়া রাজধানীবাসী তাজা তাজা খেতে পারবে। দক্ষিনাঞ্চলের খর শ্রতা নদীগুলো এ অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এ এলাকা উন্নয়নে দক্ষিনাঞ্চলের দোয়ারিকা সেতু, গাবখান সেতু,পায়রা সেতু সহ বিভিন্ন সেতু নির্মানের মাধ্যমে এ এলাকার যোগাযোগ সহজ করে দেয়া হয়েছে’। তিনি বলেন, সরাসরি পিরোজপুরে গিয়ে সেতু উদ্বোধন করতে পারলে ভালো লাগতো। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে আমাদের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এ জন্য আসতে পারিনি প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে সেতু নির্মাণে সহযোগিতা করায় চীনকে ধন্যবাদ জানান।
রবিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) পিরোজপুরের কচা নদীর উপর নির্মিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালী যোগদান করে বক্তব্য কালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘খুনিরা জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করে। প্রধানমন্ত্রী ও তার বোন শেখ রেহেনা বিদেশে থাকায় তারা বেঁচে যান। কিন্তু এ হত্যার বিচার যাতে না হয় সে জন্য পরবর্তীর সরকার আইন করে এবং খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকুরী দেয়া সহ পুরস্কৃত করে। যা জাতির জন্য কলঙ্কজনক। আর এতে আর্ন্তজাাতিক মহলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে’।
এসময় সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন ‘ এ সেতুটি দক্ষিন বাংলার জন্য আরেকটি সাফল্য। এ অঞ্চলের মানুষের জন্য এটিও একটি পদ্মা সেতু। কেনান, এ সেতুর ফলে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বানিজ্যের উন্নতি সহ যোগাযোগে আমুল পরিবর্তন আনবে’।
এ সময় উদ্বোধনী সমাবেশে পিরোজপুরের কুমিরমারা প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন,পিরোজপুর-১ আসনের এমপি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এ্যাডভোকেট শ.ম রেজাউল করিম, জেলা আ’লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল, পৌর মেয়র হাবিবুর রহমানমালে, জেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ আবদুল হাকিম, পিরোজপুর জেলা প্রশাসন মো. জাহেদুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইদুর রহমান। একই সময় বেকুটিয়া প্রান্তের উদ্বোধনী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, পিরোজপুর-২ আসনের এমপি জাতীয় পার্টি (জেপি) সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না,উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোছাঃ খালেদা খাতুন রেখা সহ উভয় প্রান্তে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সহ সর্বস্তরের জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্হাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে ৮৮৯ কোটি ট্যাকে নির্মিত সেতুটি ৯৯৮ মিটার দৈর্ঘের এ সেতুটি অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। এ সেতুটি খুলে দেয়ার ফলে এ অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্হা আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ আবু সাহিদ। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: রাশেদা ম্যানশন, ৯৮৬, মধ্যম রামপুর হালিশহর, চট্টগ্রাম | যোগাযোগ: 01869-600700, E-mail: [email protected]
Powered by somoyernews.com | Designed by F.A.CREATIVE FIRM LTD.