প্রিন্ট এর তারিখঃ জুলাই ২, ২০২৫, ৬:৩৯ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২, ৫:৩৮ অপরাহ্ণ
দ্রুত দাফনের নির্দেশ কেন দিল পুলিশ! হাটহাজারীতে পিস্তলের গুলিতে যুবকের মৃত্যু!

মোঃ শোয়াইব, হাটহাজারী প্রতিনিধি: হাটহাজারীতে পিস্তলের গুলিতে মারুফ সাইমুন নামের (২৩) প্রবাসী যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।শনিবার(১০সেপ্টেম্বর)ভোর সাড়ে চারটায় নাজিরহাট হাটহাজারী সড়কের হন্ডলিয়ার ঘাটা থেকে রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। কোন ময়নাতদন্ত ছাড়াই হাইওয়ে পুলিশ কেন হস্তান্তর করেছে লাশ এ নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছে এলাকাবাসী। সাইমুন উপজেলার ধলই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সোনাইরকুল রহমত দীঘির পাড় তুফান আলী বলির বাড়ীর আবুল মালেকের পুত্র।সে একজন রাজমিস্ত্রী ও রাতে বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানে ডিজের কাজ করেন। শনিবার সকালেই দাফনের প্রস্তুতি নিলে সংবাদ পেয়ে মডেল থানার ওসি লাশ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।তার মাথার দুই দিকে ছিদ্র ছিল, প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে।এমনকি একপাশ দিয়ে মগজ বের হতে দেখা গেছে। তবে কেন দ্রুত দাফনের নির্দেশ দিয়েছে উপস্থিত পুলিশ এটা নিয়েও এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। ২ছেলে ৩মেয়ের মধ্যে সাইমুন সবার ছোট।
সরেজমিনে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,নিহতের বাবাকে পুলিশ ভোর সাড়ে ৪টায় মুঠোফোনে কল দিয়ে বলে তোমার ছেলেকে নিয়ে যাও।ঘটনাস্থলে রফিক নামের এক ব্যক্তিকে নিয়ে যায় সাথে।তখন হাটহাজারী মডেল থানার এসআই আলমগীর ও নাজিরহাট হাইওয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে লাশটি উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। সাইমুনের বাবা প্রতিবেদককে বলেন,পুলিশ দ্রুত লাশ বাড়ীতে নিয়ে দাফন করে ফেলতে বলেছে।যদি দেরী কর সমস্যা হবে তোমাদের। এম্বুলেন্স এর জন্য অপেক্ষা করলেও পুলিশ নিজেই ভ্যানগাড়ী একটাতে লাশ তুলে দেয় বলেও তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, আমার ছেলে সরকারহাট গিয়েছিল মায়ের জুতা সেলাই করতে।সেখান থেকে রাতে ফটিকছড়ি উপজেলার সমিতিরহাট একটি অনুষ্ঠানে যায় সাউন্ড বাজাতে।রাত ২টায় প্রোগ্রাম শেষ করে বাড়ীতে চলে আসবে বলেছে।কিন্তু ভোর রাতে পুলিশ খবর দিলে গিয়ে দেখি আমার ছেলের নিথর দেহ পড়ে আছে। এত রাতে কোন গাড়ী সড়কে ছিলনা,পুলিশ বলল তোমার ছেলে এক্সিডেন্ট করেছে। তাহলে পুলিশ লাশ থানায় কেন নেয়নি,ময়নাতদন্তের জন্য কেন হাসপাতালে নেয়নি।হাইওয়ে পুলিশ আমাদের রাতে থানায় নিয়ে সাদা কাগজে সাক্ষর নিয়ে চলে যেতে বলে। নিহতের চাচা রফিক বলে জিবনে কখনো রোড এক্সিডেন্টে মারা গেলে লাশ পরিবারকে ময়নাতদন্ত ছাড়া কি দিয়ে দেয়?আমার ভাতিজাকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই কেন দিল।আমার ভাতিজাকে গুলি করে খুন করেছে।কারা করেছে আমরা জানিনা,আমাদের পরিবারের মধ্যে জায়গা জমি নিয়ে বা টাকা পয়সা নিয়ে কারো সাথে কোন ঝগড়া নেই। কেন পুলিশ দ্রুত দাফন করতে বলেছে সেটা নিয়ে আমাদের সন্দেহ সৃষ্টি হয়।একজন যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে সেটা কি ভাবে দ্রুত দাফন করবো। আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনবে এটাই দাবি করছি।
পুলিশ উপ-পরিদর্শক আলমগীর বলেন,রাতে মোবাইল ডিউটিরত অবস্থায় মনিয়াপুকুর পাড় এলাকার হন্ডলিয়ার ঘাটার সড়কে যুবকের মরদেহ পড়ে আছে দেখতে পেয়ে থানার ডিউটি অফিসারের কাছে ফোন করি।সেখান থেকে নাজিরহাট হাইওয়ে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে তার বাবাকে জানালে ভোর রাতে এসে লাশ নিয়ে যায়।লাশ আনার দায়িত্ব আমার না এটা হাইওয়ের তারা কেন নেইনি সেটা আমি জানিনা।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন জানান,মৃত ব্যক্তিকে দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক মর্গে প্রেরণ করি। তবে কি ভাবে মৃত্যু হয়েছে তা উদঘাটন করতে পুলিশ মাঠে নেমেছে।দ্রুত এ ঘটনার রহস্য উন্মোচন হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ আবু সাহিদ। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: রাশেদা ম্যানশন, ৯৮৬, মধ্যম রামপুর হালিশহর, চট্টগ্রাম | যোগাযোগ: 01869-600700, E-mail: [email protected]
Powered by somoyernews.com | Designed by F.A.CREATIVE FIRM LTD.