ডেস্ক রিপোর্ট : আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষণীয়। আর কর্মী সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে নগর সেচ্ছাসেবক দলের রয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। কর্মী সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহ্সান, সিনিয়র সহসভাপতি ইয়াছিন আলী। এছাড়া ২৪ সেপ্টেম্বর স্বেচ্ছাসেবক দল উওর ও দক্ষিণ জেলার কর্মী সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী, সিনিয়র সহসভাপতি ইয়াছিন আলী। আর কর্মী সমাবেশের পাশাপাশি নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলমান বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি।
এদিকে কর্মী সমাবেশকে ঘিরে সাংগঠনিক নতুন কমিটির গঠন প্রক্রিয়ার গুঞ্জনে নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। দলের শীর্ষ পদে স্হান পেতে কর্মী সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতাদের নজরে আসতে একাধিক নেতা ব্যক্তিগত শোডাউন দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে সূত্রমতে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, কেন্দ্রীয় সংসদের নেতারা চট্টগ্রামে কর্মী সভায় যোগ দেয়ার জন্য আসবে, কর্মী সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। নতুন কমিটি গঠনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, নতুন কমিটি গঠনের বিষয়ে কোন ইংগিত পাওয়া যায়নি। তবে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর কর্মী সমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্য ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি এ কর্মী সমাবেশের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল একটি সফল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৬ জুলাই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও এইচ এম রাশেদ খানকে সভাপতি এবং নগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুকে সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র সহ সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সহ সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার, যুগ্ম সম্পাদক সিনিয়র আলী মূর্তজা খান ও ইঞ্জিনিয়ার জমির উদ্দীন নাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়াসহ ৭ জনের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্র । পরবর্তীতে ২০২০ সালের দিকে ১৭১ জনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়ার পর থেকে নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর নেতৃত্বে শীর্ষস্থানীয় কিছু নেতৃবৃন্দ দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করলেও কমিটির অধিকাংশ সদস্য নিস্ক্রীয় এবং সাংগঠনিক কর্মকান্ডে দেখা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বর্তমান কমিটির একাধিক নেতারা জানান, কমিটির পদ পদবী বন্টনের ক্ষেত্রে বৈষম্য অবহেলা যোগ্য পদ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার ক্ষোভে হতাশায় অনেকে পদ পদবীতে থাকলে কর্মসূচিতে অংশ না নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এমতাবস্থায় যোগ্য ব্যক্তিদের কমিটিতে উপযুক্ত মূল্যায়ন করতে হবে। মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটিতে সভাপতি পদে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে বর্তমান কমিটির সভাপতি এইচ.এম রাশেদ খান। এছাড়া সভাপতি পদে আরো আলোচনায় রয়েছে, বর্তমান কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মূর্তজা খান, সহ সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছে বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, ডবলমুরিং থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আকতার হোসেন বাবলু, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জমির উদ্দীন নাহিদ, এডভোকেট এনামুল হক এনাম, জহিরুল হক টুটুল, আবু বক্কর রাজু। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আলোচনায় আছেন, বর্তমান কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, মো: ইসহাক খান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-দফতর সম্পাদক মো: জাহিদুল ইসলাম। এছাড়াও সুপার ফাইভে আলোচনায় আছেন, নগর স্বেচ্ছাসেবক দল বর্তমান কমিটির সহ সভাপতি মাঈন উদ্দিন রাসেদ, সহ সাধারন সম্পাদক মোখলেছুর রহমান, আকবরশাহ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাসান মাহমুদ, ডবলমুরিং থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক নোমান শিকদার সোহাগ।
নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ ছাত্রদলের রাজনীতি করেছি, স্বেচ্ছাসেবকদল চট্টগ্রাম মহানগরের সহ সম্পাদক পদ পাওয়ার পর থেকে দলীয় সকল কর্মসূচীতে আমি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছি। আশা নতুন কমিটিতে আমাকে যদি সঠিক মূল্যায়ন করা হয়, তাহলে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করব এবং সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করতে আমার ভূমিকা সর্বাগ্রে থাকবে বলে প্রত্যাশা করছি।
নতুন কমিটি প্রসঙ্গে ডবলমুরিং থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আকতার হোসেন বাবলু বলেন, বর্তমান কমিটির সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু সফল সংগঠক, তাদের নেতৃত্বে বর্তমান মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল অনেক বেশি শক্তিশালী। তাই তাদের কোন বিকল্প নাই, তবে সেন্ট্রাল নেতৃবৃন্দ যদি নতুন কমিটি প্রক্রিয়া শুরু করে এক্ষেত্রে আমি সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী।
স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দল চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার কমিটির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তাই নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলমান। ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সমাবেশে দেখে যদি মনে হয় নতুন কমিটির প্রয়োজন, তাহলে অবশ্যই নতুন কমিটি দেয়া হবে।