প্রেস বিজ্ঞপ্তি: গত ১২ই জানুয়ারী,২০২২ ইং তারিখে মাস্টার দা সূর্যসেনের ৮৯তম ফাঁসি দিবসে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম জেলা সংসদের উদ্যোগে নবাগত সদস্যদের সাংগঠনিক মান বৃদ্ধির জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি শিক্ষা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা ক্যাম্পের প্রথম সেশনে নবাগত সদস্যদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর পরিদর্শন করা হয়। দ্বিতীয় সেশনে “শিক্ষার দর্শন” বিষয়ে আলোচনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাছুম আহমেদ। দুপুরের খাওয়ার বিরতির পর বিকেলের সেশনের শুরুতে মাস্টার দা সূর্য সেনের ফাঁসি দিবস স্মরণে তাঁর আবক্ষ মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে শুরু হয় শিক্ষা ক্যাম্পের সর্বশেষ সেশন ক্রীড়া ইভেন্ট। ইভেন্টের প্রথমে অনুষ্ঠিত হয় “মোরগ লড়াই” প্রতিযোগিতা। এই ইভেন্টে বিজয়ী হন যথাক্রমে আশরাফুল রহমান অনি, মোহাম্মদ মোস্তফা এবং নাঈম। ইভেন্টের ২য় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয় “হাঁড়ি ভাঙা” প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন যথাক্রমে হৃদয় বিশ্বাস, মিজানুর রহমান আরিফ এবং রেফান।
ক্রীড়া ইভেন্ট শেষে শুরু হয় পুরস্কার বিতরণী সভায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি এ্যানি সেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি গৌরচাঁদ ঠাকুর অপু, সাধারণ সম্পাদক সৌরভ ধর, চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক খালিদ মিরাজ এবং কোষাধ্যক্ষ ডেনি বিশ্বাস। সভা সঞ্চালন করেন চট্টগ্রাম জেলা ছাত্র ইউনিয়নের শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক নিশান রায়। পুরস্কার বিতরণী সভায় বক্তারা বলেন, আজ ১২ জানুয়ারি মাস্টার দা সূর্য সেনের ফাঁসি দিবস। তিনি তদানীন্তন ভারতের মুক্তি সংগ্রামে সশস্ত্র বিপ্লবের মহানায়ক। মাত্র চল্লিশ বছর বেঁচে ছিলেন সূর্য সেন। প্রায় একশত বছর হতে চললো এ মহানায়ক পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। তাঁকে আমরা এরই মধ্যে ভুলতে বসেছি। কিন্তু তাঁকে ভুল গেলে চলবে না। যুগে যুগে সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য এরকম আদর্শিক বিপ্লবীর যে বড় প্রয়োজন। আজকের এ সময়ে সূর্যসেনের আর্দশে অনুপ্রাণিত হওয়া বিশেষ দরকার। তাই তাঁকে স্মরণে রাখার পাশাপাশি তাঁর আর্দশকে জীবনাচারে লালন করা চাই। বক্তারা আরো বলেন, আগামীর নেতৃত্ব তৈরিতে সাংগঠনিক কর্মশালার বিকল্প নেই। এই শিক্ষা ক্যাম্প থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। কিভাবে যৌথভাবে কাজ করতে হয়, নেতৃত্বের গুণাবলি তৈরি করতে হয় তার সম্পর্কে ধারনা পেয়েছি। এ ধরনের কর্মশালা আগামীতে নেতৃত্ব এবং সংগঠন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনে ভূমিকা রাখবে। এই ধরনের শিক্ষা ক্যাম্প যত বেশি বেশি হবে ততই সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। আগামীতে আরো বড় পরিসরে এমন শিক্ষা ক্যাম্পের আয়োজন করা হবে। আলোচনা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।