বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা মরহুম এম এ হান্নানের ম্যুরাল উদ্বোধন করলেন চসিক মেয়র

সময়ের নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, ঐতিহ্য ও ঘটনাবলির চিহ্ন আমরা ভুলে গেছি। এ কারণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী অপশক্তি বার বার ফনা তুলছে। এদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিতে হলে বেতার তরঙ্গে স্বাধীন বাংলা বিল্পবী বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে জননেতা এম এ হান্নানের স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণা পাঠ আগামী প্রজন্মকে শানিত করবে। বর্তমান প্রজন্ম এখনো জানেনা কিভাবে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল।

তিনি বলেন, ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইট আর বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণার পর ঢাকা বেতার পাকিস্থানী সেনাদের দখলে থাকলেও চট্টগ্রাম বেতারকে মুক্তিযোদ্ধারা মুক্ত রাখতে পেরেছিল। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাটি সে সময় ইপিআরের ওয়্যারলেসে চট্টগ্রামে পৌঁছার পর তৎকালীণ চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জননেতা এম এ হান্নান কালুরঘাটস্থ স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণার পাঠ করেন। ১৯৭১ সালে অসহযোগ আন্দোলন চলাকলে চট্টগ্রাম বন্দরে সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-শ্রমিক-জনতাকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। পরে তিনি আগরতলা গিয়ে সেখানে হরিণা যুব শিবির প্রতিষ্ঠা করেন।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এই বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা এম এ হান্নান ১৯৭৪সালে ১১ জুন কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ফেনী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও স্মৃতিচিহ্নগুলো আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে সংরক্ষণ করবো। মেয়র মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শানিত হয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশকে স্মরণকালের সর্ববৃহত জনসভায় রূপান্তর করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।

১৫ নভেম্বর মঙ্গলবার বহদ্দারহাট মোড়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মাহমুদের তত্ত¡াবধানে স্থাপিত জননেতা মরহুম এম এ হান্নানের বজ্রকণ্ঠ ম্যুরাল উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন-ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসরারুল হক, এম আশরাফুল আলম. জহর লাল হাজারী, মোরশেদ আলম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর জোবাইরা নার্গিস খান, জেসমীন পারভিন জেসী, চসিক নির্বাহী প্রকৌশলী আবু ছিদ্দিক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল আলম, আতিকুর রহমান, শওকত হোসেন, তৌহিদুল আনোয়ার সেন্টু, আলী আজগর, এরশাদুল্লাহ, আকতার ফারুক, পলাশ খাস্তগীর, জাকির হোসেন, এমরান হোসেন। ম্যুরালটি নির্মাণ করেন ভাস্কর প্রনব সরকার ও ট্রেড ম্যাক্স বাস্তবায়ন করে সৌন্দর্য্য বর্ধণের কাজ সম্পন্ন করে।