নিলিয়ান বম, বান্দরবান (রুমা) প্রতিনিধিঃ বান্দরবানে রুমায় ১নং পাইন্দু ইউপি চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির নানা অভিযোগের সংবাদ প্রকাশ করায় উহ্লামং চেয়ারম্যানের নিকটতম আত্মীয় বামং মার্মা নেতৃত্বে প্রায় ১৫ জন লোক সিনিয়ার সাংবাদিক ও রুমা প্রেস ক্লাবের সভাপতি শৈহ্লাচিং মার্মা উপর ক্ষেপে ওঠে এবং এক পর্যায়ে হামলার চেষ্টা করা হয়েছে।
১৯ ডিসেম্বর সোমবার রুমা বাজারে একটি চা দোকানে এঘটনা ঘটে হয়েছে। এধরনের জঘন্য অপরাধ জন্য তীব্র নিন্দা ও দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি জানিয়েছে রুমা উপজেলার কর্মরত সাংবাদিক।
জানা গেছে সম্প্রতি রুমায় ১নং পাইন্দু ইউনিয়ন চেয়ারম্যান উহ্লামং মার্মা বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী উপহারের ঘর হিসেবে পরিচিত আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় দরিদ্র এক বৃদ্ধ ব্যক্তির নামে বরাদ্দ চেয়ারম্যান কর্তৃক ভাগিয়ে নেয়ার বিষয়সহ নানা অনিয়মের-দুর্নীতি কর্মকান্ডের সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে পাইন্দু ইউপি চেয়ারম্যান উহ্লামং মার্মা দিন দিন রুমায় সংবাদ কর্মীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে থাকে। প্রধানমন্ত্রী উপহারের ঘরটি চেয়ারম্যান ভাগিয়ে নেয়ার সংবাদটি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় স্থানীয় নানা শ্রেনীর পেশাজীবি ও সাধারণ মানুষের কাছে রুমায় সিনিয়ার সাংবাদিক শৈহ্লাচিং মার্মাসহ অন্য সংবাদ কর্মীদের উপর ক্ষতি করার কথা ব্যক্ত করেন উহ্লামং চেয়ারম্যান।
সম্প্রিতি রুমায় এক মহিলাকে পর্নোগ্রাফি ভিডিও পাঠানো অভিযোগ আসার এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় আলোচনায় আসছে ! অতীতেও ঐরকম তার কর্মকান্ডের জন্য ইউনিয়ন অনেক দুর্নাম রয়েছে বলে জানা যায়।
উহ্লামং মার্মা চেয়ারম্যানের বড় ছেলে জয় মার্মা (২০) রুমা উপজেলায় কর্মরত সিনিয়ার সাংবাদিক শৈহ্লাচিংসহ কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুক মাধ্যম অসম্মানজনক অসংলগ্ন কথাবার্তা পোস্ট করেছে।
এসব বিষয়টি নিয়ে ভবিষ্যতে নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা থানায় সাধারণ ডায়রী করেন সিনিয়র সাংবাদিক শৈহ্লাচিং। যার রুমা থানা ডাইরী নং ৪৮২। এতে পাইন্দু ইউপি চেয়ারম্যান উহ্লামং মার্মা আরো ক্ষুদ্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় আজ মোমবার সকালে রুমা বাজারে একটি চা দোকানে উহ্লামং চেয়ারম্যানের নিকটতম আত্মীয় ১, বামং মার্মা (৫৬), অংগ্রপ্রু মার্মা (৩৩), উচিমং (৪০) নেতৃত্বে প্রায় ১৫-২০জন লোক সাংবাদিক শৈহ্লাচিং মার্মা উপর তেড়ে ওঠে এবং এক পর্যায়ে হামলা চেষ্টা করে।
ভূক্তভোগী সাংবাদিক শৈহ্লাচিং মার্মা বলেন চেয়ারম্যান এর আত্মীয়দের মারধর থেকে রেহাই পেতে বাজারে দোকান থেকে রুমা সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চলে আসেন। সেখানেও চেয়ারম্যানের স্বজনেররা চলে এসে এবং উত্তেজিত হয়ে উত্তেজিত হয়ে আবারও হামলা চেষ্টা করে। অবস্থা বেগতিক দেখে জীবনে নিরাপত্তা জন্য রুমা বাজার সেনা ক্যাম্পে আশ্রয় নিতে চলে যান। তিনি বলেন আমি এখন নিরাপত্তাহীনতা ভূগছি।
যারা আমাকে হামলা চেষ্টা করেছে তারা সবাই পাইন্দু ইউনিয়নে চান্দ পাড়া বাসিন্দা বলে জানান।
হামলা ব্যাপারে থানা অভিযোগের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি, আজকে না হলে আগামীকাল অভিযোগ করা হবে।
শৈহ্লাচিং মার্মা বাংলাদেশ বেতার, অনলাইন নিউজ পোর্টাল পার্বত্য নিউজ ও পাহাড় বার্তা ডটকম এর রুমা উপজেলা প্রতিনিধি এবং রুমা প্রেসক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
হামলা ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে পাইন্দু ইউপি চেয়ারম্যান উহ্লামং মার্মা বলেন, শৈহ্লাচিং মার্মাকে হামলা বিষয়টি অস্বীকার করে বললেন এই ব্যাপারটি আমি কিছুই জানি না, সাংবাদিক শৈহ্লাচিং কে বা করা হামলা চেষ্টা করেছে। তাঁর ( শৈহ্লাচিং) যদি কোন অভিযোগ থাকলে আমি সেটা দেখবো বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান উহ্লামং।
রুমা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসাইন হামলা বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ করা হয় নাই।
পড়েছেনঃ ৯৫