নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের ভাটির রাজধানী মধ্যনগর উপজেলার সবকটি নদীর গভীরতা দিন দিন কমে যাওয়াতে নদীর গর্ভে নব্যতা হারিয়ে মরন দশায় নেমেছে ছোট বড় নদীর প্রাণ ,ডিসেম্বর মাস থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত বিপাকে পরতে হয় হাওরাঞ্চলের ব্যবসায়ী ও নৌযানের শ্রমিক সহ এলাকার সাধারণ মানুষ। চৈত্র বৈশাখে জোয়ারের পানি ও পাহাড়ি ঢলের পানি নদীর ধারণ ক্ষমতা না থাকায়, দ্রত্রু পানি সরতে না পেরে নদীর আপার ডুবে প্রায়েই ফসল হানির ঘটনা ঘটে। বৈশাখের বোরোধান পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশংকায় দিন গুনতে হয় কৃষকের, ফসল ঘরে তোলার আগ পর্যন্ত দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় এলাকার কৃষকরা। হাওর অঞ্চলের কৃষকের বোরো ফসল নিরাপদে ঘরে তোলতে স্হায়ী বাঁধ নিরাপত্তার লক্ষ্যে, নদী পথে মালামাল আনানেওয়া এবং যোগাযোগ রক্ষা করতে দ্রত্রু নদী খননের প্রোয়োজোন বলে, দাবী করছে এলাকাবাসী।
বর্ষার মৌসুমে ভারতের পানি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে পলি মাটি পড়ে ভরাট হওয়ার দরুন ,নদী গুলি ভারসাম্যহীন হয়ে হারিয়ে পেলেছে নদীর ধারণক্ষমতা । যার ফলে নৌ পরিবহন চলাচলের রাস্তা বন্ধ হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। প্রতিবছরেই শুকনো মৌসুমে এলাকার বিভিন্ন সামগ্রীর মালামাল কয়লা,পাথর, আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে ভাড়া দ্বিগুণেরও বেশি দিতে হয়। মৌসুমে পানি কমার সাথে সাথে বড় বড় নৌযান চলাচল বন্ধ থাকে, পৌষ মাসের শুরুতে ছোট ছোট নৌযান চলতে দেখা যায় ,এবং ফাগুন মাসের এক সময় সবধরনের নৌযান বন্ধ থাকতে দেখা গেছে । এতে করে ব্যবসায়ী সহ সকল শ্রেনীর লোকেদের মালামাল আনানেওয়া করতে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নৌযান শ্রমিকের সাথে কথা বললে জানা যায়, মধ্যনগর বাজার সংলগ্ন উব্দাখালী নদীর প্রায় ১৫ কিলোমিটার নদী শুকিয়ে যায়। মৌসুমে পানি শুকিয়ে গেলে , ছোট নৌকায় মাল উবরী করতে প্রায় ৫ থেকে ৭ দিন সময় লাগে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ আবু সাহিদ। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: রাশেদা ম্যানশন, ৯৮৬, মধ্যম রামপুর হালিশহর, চট্টগ্রাম | যোগাযোগ: 01869-600700, E-mail: [email protected]
Powered by somoyernews.com | Designed by F.A.CREATIVE FIRM LTD.