হাফিজুল ইসলাম স্বপন, ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ ফুলবাড়ীয়ায় কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে সমলয় পদ্ধতিতে জমিতে ধান রোপণ করা জন্য ট্রে-তে বোরো ধানের বীজতলা তৈরী করছে কৃষকরা । ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় বোরো আবাদ বৃদ্ধির লক্ষে ‘ট্রে’তে প্রথমবারের মতো হাইব্রীড জাতের ধানের বীজ বপন করেছেন উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের পাটুলী ব্লকের কৃষকরা ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কৃষক সোহেল মিয়ার নেতৃত্ব আরো কয়েকজন কৃষক সাথে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দল্লাহ আল মামুন । কাঁদাযুক্ত জমিতে সারি সারি ট্রে বসিয়ে সেগুলি কাঁদা দিয়ে ভরাট করছে । কাঁদা দিয়ে ভরাটকরা পর সে ট্রে-তে ধানের বীজ ফেলা হচ্ছে ।

কৃষক সোহেল মিয়া বলেন ,গত এক বছর ধরে আমরা ট্রে-তে বীজ বপন করে ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে ধান চাষ করে আসতেছি । এতে শ্রমিক ও সময় কম লাগছে।রোগ বালাই কম হয়েছে বলে ফলনও ভাল হয়েছে ।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দল্লাহ আল মামুন জানান , কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে পটিজানা ইউনিয়নের ৪০ একর জমিতে বোরো আবাদের জন্য ‘ট্রে’ পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত চারা ৭০জন কৃষক তাদের জমিতে রোপণ করবেন। সে লক্ষ্যে বীজতলা তৈরিতে তাদের সময় লেগেছে মাত্র দুইদিন।

তিনি আরো জানান, কৃষি বিভাগের খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের সহায়তায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পুটিজানা ইউনিয়নের বোরো আবাদ করা হবে এতে ৭০জন কৃষককে উদ্বুদ্ধ করা হয়। তারা একমত হয়ে বোরো আবাদে আগ্রহী হয়েছেন। তাদেরকে বীজতলা তৈরীর যন্ত্র, ধানের বীজ, ট্রে ও কয়েকজন কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তারা পালা করে সিড সোয়িং মেশিন ব্যবহার করে ট্রে’তে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব রানা জানান , কৃষি যান্ত্রিকীকরণের লক্ষে পরীক্ষা মূলক ভাবে পুটিজানা ইউনিয়নের পাটুলী ব্লকে ট্রে তে বীজ বপন করা হচ্ছে । ট্রে-তে বীজ বপনের ২০-২৫ দিনের মধ্যে এ বীজতলায় উৎপাদিত চারা লাগানোর উপযোগী হয় এবং ফলন হয় ২০ভাগ বেশী । রোগ বালাই কম হয় সিডলিং ‘ট্রে’তে উৎপাদিত চারা রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে ঘণ্টায় ৪০শতক জমিতে চারা রোপণ করা যাবে। এতে ধানের উৎপাদন খরচ, সময় ও শ্রম সাশ্রয়ী হবে।