সরাইল অরুয়াইল নদী ভরাট, অবৈধ দখল ও তৈরি স্থাপনার চিত্র বিভিন্ন মিডিয়ায় সচিত্র প্রতিবেদনে। বিস্তর লেখালেখি হয় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি জায়গায় দোকান মার্কেট করা অবৈধ প্রতিষ্ঠানে (লাল× চিহ্ন)দেন তৎকালীন সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ফারজানা প্রিয়াঙ্কা। অরুয়াইল বাজারের অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হলেও আজওপর্যন্ত অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে কোন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়নি স্থানীয় প্রশাসন। বাজারে গেলে মহিলা মার্কেট, ফেরি দোকান ও অরুয়াইল বাজারে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন করা ঘাটলা দখলদারা দহল তবিয়তে আছে। এখন আবার দখল করছে ব্রীজ এলাকায়। যার ছবি দেওয়া আছে।
অরুয়াইল বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি আওয়ামীলীগ সভাপতি আবু তালেব মিয়া বলেন, অরুয়াইল তিতাস নদী ও বাজার দখলের বিষয়ে উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভায় একাধিক বার বলেছি। এসিল্যান্ড ম্যাডাম বাজারে অবৈধ দোকানে লাল চিহ্ন দিয়ে গিয়েছিল। তার পর ও আজও পর্যন্ত এই ব্যাপারে কিছু হয়নি। আমরা বললে আরোও দোষী হয়। এখন তো ব্রিজ থেকে শুরু হয়েছে দখলের রাজত্ব।
অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইঁয়া এ প্রতিনিধিকে বলেন, অরুয়াইল ব্রিজের কাছেও নদীর জায়গা দখল করে ভরাট করা হয়েছে। আর কিছু জায়গায় ভবনের পরিত্যক্ত ইট, সুরকি এসব ফেলে সেখানে ছোট ছোট ঘর তৈরি করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স-মিলের নামে দখলে রাখা হয়েছে। চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূইঁয়া বলেন,ভাটি এলাকার এক মাত্র সু- প্রসিদ্ধ অরুয়াইল বাজার সুষ্ঠভাবে ব্যবসা বানিজ্য করার স্বার্থে ও এলাকার মানুষের শান্তিতে বসবাস করতে তিতাস নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় রেখে নদী, বাজার রক্ষা করতে অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে প্রশাসনের উদ্ধার অভিযান "আমার নাশুধু"এলাকার মানুষের দাবি। এ নিয়ে বারবার প্রতিবেদন সরকারি সংশ্লিষ্ট অফিসে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এ সব বিষয়ে তদন্ত আসলে তেলিকান্দি তহসিল অফিসের তহসিলদার তদন্ত প্রতিবেদনে ,দখলদারদের নাম উল্লেখ না করে তার মনগড়াভাবে প্রতিবেদন জমা দেন। এ ব্যপারেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।অরুয়াইল বাজার প্রতি দিন নদীর পার সরকারি জায়গা দখল করে দোকান হচ্ছে তার চোখে পড়ে না। তিনি বলেন, তাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে বিভিন্ন অজুহাতে দখল হচ্ছে অরুয়াইল বাজারের তিতাস নদী ও বাজারের সরকারি সম্পত্তি। অরুয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মো, মোশাররফ হোসেন বলেন,পরে এক সময় এগুলো প্রভাবশালীদের মালিকানায় চলে যায়। এতেই প্রমাণ মিলে দখল কোনোমতেই কমেনি বরং অব্যাহত রয়েছে।
লিখিত অভিযোগ ও অবৈধ দখলের কথা স্বীকার করে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন,সরকারি জায়গা দখল করতে দেওয়া হবে না। সরকারী জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।উল্লেখ্য যে, সরাইল উপজেলা আইন- শৃংখলা মাসিক সভায় অরুয়াইলের সরকারি জায়গা উদ্ধারের বিষয়ে একাধিক বার আলোচনায় উঠেছে।