প্রেস বিজ্ঞপ্তি :   আধুনগর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলোচক আলহাজ্ব মাওলানা আবু মুসা মুহাম্মদ খালেদ জমিল বলেছেন, আধুনিক বিশ্বে ইসলামী তাহজীব তামাদ্দুনকে তুলে ধরার জন্য মাদরাসা শিক্ষার্থীদের অগ্রণি ভুমিকা পালন করতে হবে। দেশের প্রতিটি সেক্টরে আজ মাদরাসার শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্টিত থেকে দেশের কল্যাণে কাজ করছে। তিনি আরো বলেন, ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সংকটে বিশ্বের কাছে ইসলামকে সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান-গবেষণাকে আরো বিস্তার ঘটাতে হবে। কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে নিজেকে গড়ে তোলার সাথে সাথে সমাজ, দেশ ও বিশ্বকে কোরআনের আলোকে গড়ে তুলতে সকলের প্রতি আহবান জানান।

সকাল ১০টায় লোহাগাড়া থানার আধুনগর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের সভাপতি মাওলানা জহির মোহাম্মদ শামসুদ্দিনের সভাপতিত্বে ও মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন আধুনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, অধ্যাপক মাওলানা জোবাইর হোসাইন সিদ্দিকী, উপাধ্যক্ষ মাওলানা ওসমান গণি, অধ্যাপক মোসাদ্দেক আহমদ, মাওলানা গাজী মোস্তাক আহমদ, অধ্যাপক আবদুল খালেক, মাওলানা তাহের আহমদ, অধ্যাপক মাওলানা সলিম জাহাঙ্গীর, মাওলানা হুমায়ুন কবীর, মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছিন, সাংবাদিক মুহাম্মদ আখতার হোসাইন, মাওলানা নূর মোহাম্মদ, মাওলানা আবদুল মান্নান, মাওলানা শাহজাহান, মাওলানা রিদওয়ানুল হক, মাওলানা শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যার মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, দ্বীনি শিক্ষার প্রসারে আধুনগর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা কি অবদান রাখছে তা আমরা স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছি। সম্মেলনে উপস্থিত দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্টিত ব্যক্তিরাই এই মাদরাসার রত্ম। আমি তাদের আরো সফলতা কামনা করি। বিশেষ অতিথি অধ্যাপক মাওলানা জোবাইন হোসাইন সিদ্দিকী বলেন, মাদরাসার শিক্ষার্থীদেরকে জ্ঞান অর্জনের সাথে সাথে আমলও করতে হবে। দেশের হাজারো প্রতিষ্ঠান আছে যেখান থেকে অন্যান্য সেক্টরে কাজের লোক তেরী হবে কিন্তু আমি মনে করি মাদরাসা থেকে মুহাদ্দিস, মুফাস্ধিসঢ়;সর, ফকিহ, ইসলামী দার্শনিক ও ইসলামী স্কলার বের হতে হবে। যারা বিশ্বে ইসলামী তাহজীব তামাদ্দুনকে প্রতিষ্ঠিত করবে।

সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী তিন বছরের জন্য কমিটি গঠিত হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মাওলানা জোবাইন হোসাইন সিদ্দিকী ভোট গণনার পর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন। নব নির্বাচিতদের মধ্যে মাওলানা জহির মুহাম্মদ শাসুদ্দিনকে সভাপতি, মাওলানা নুরুল আলম সাধারণ সম্পাদক, মাওলানা মাহফুজুর রহমান সাংগঠনিক সম্পাদক , মাওলানা শাহজাহান কোষাধ্যক্ষ, হাফেজ মুহাম্মদ রফিক প্রচার সম্পাদক, মাওলানা মর্তুজা বেলাল দপ্তর সম্পাদক ও মাওলানা কফিল উদ্দিন শিক্ষা ও সংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন