রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সদর ইউয়িননের বারবান্দা গ্রামের প্রায় ৩৬ শতাংশ জমির ধান রাতের আধারে বিষ প্রয়োগে পুড়ে ছাই করার অভিযোগ উঠেছে হামিদা বেওয়ার সৎ ছেলেসহ তার পরিবারের উপর । পারিবারিক কলহের জেরে প্রকাশ্যে জমির ফসল নষ্টের হুমকির মাধ্যমে ধানে বিষ প্রয়োগের ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন হামিদা বেওয়া। প্রতিকার চেয়ে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী। বুূধবার ৩ মে সরজমিনে গিয়ে জানা যায় এসব তথ্য।
অভিযোগ সূত্রে ও সরজমি গিয়ে জানা গেছে, স্বামী সোবহান হোসেনের মৃত্যুর পর সৎ ছেলে সালাম ও নাতী মনির হোসেন, সাইদ মিয়া হামিদা বেওয়ার সৎ ছেলেদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে জমাজমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এদিকে তার দুটি ছেলে দেশের বাইরে থাকায় তাদের ক্ষমতাবলে স্বামীর দেয়া জমি প্রায় সময় এসে জবরদখরে চেষ্টা করে। এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও মাতাব্বরগণদেও কাছে একাধীকবার
অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়ানি ভুক্তভোগী এই পরিবার। চলতি বোরো মৌসুমে মাঘ মাসের শেষের দিকে কলাবাড়ী মৌজার অংশের ৩৬ শতাংশ জমির মধ্যে ২১ শতাংশ লাল চাঁনের নিকট ও ১৫ শতাংশ
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বিন্দুরচর গ্রামের আব্দুস সালামের নিকট জমি বর্গা দেন বেওয়া। সে থেকে তারা চাষ করে আসছে তারা।
এমতাবস্থায় রমজানের শুরুরদিকে বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা ছাড়াই জহুরুল মাষ্টার, এন্তাজ আলীসহ কয়েকজনের সামনে ফসলি জমি বিনষ্ট করবে বলে হুমকি ধামকি দেন তার সৎ ছেলে সালাম।
বিধিবাম, কয়েকদিন পর জমিতে গিয়ে ভুক্তভোগী হামিদা ও বর্গা চাষি লাল চাঁন ও আব্দুস সালাম দেখতে পান জমির ধান ঝিমিয়ে পড়েছে। ধান পুড়ে যাওয়ার ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় আলোরণ সৃষ্টি হয়। থানায়
অভিযোগ দায়ের করা হলে থানা পুলিশ তদন্তপুর্বক সালিশি বৈঠক বসে। পরে অফিসার ইনচার্জ এর সাথে nস্থানীয় মাতাব্বরগণ গ্রামেই সমাধান করবেন বলে প্রতিশ্রæতি নিয়ে চলে যান। এদিকে দীর্ঘ একমাস
অতিবাহিত হলেও ইউপি সদস্য ফিরোজ আহমেদসহ গ্রামের মাতাব্বরগণ বিচারের নামে বিভিন্ন টালবাহানা করে সময়ক্ষেপন করছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। এদিকে এমন জঘন্নতম ঘটনার ন্যায়
বিচারের দাবী জানান ভুক্তভোগী হামিদা বেওয়া।
এব্যাপারে বর্গা চাষি লাল চাঁন ও আব্দুস সালাম বলেন, আমারা দীঘদিন থেকে হামিদার কাছ থেকে জমি বর্গা নিয়ে চাষ করে আসছি। তাদের পারিবারিক কি সমস্যা জানি না। কিন্তুু আমার ধান গুলি বিষ
প্রয়োগে নষ্ট করেছে এঘটনার ন্যায় বিচার চাই।
এবিষয়ে জহুরুল মাষ্টারের নিকট ধানে বিষ প্রয়োগের বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি স্কুলে থাকি। কে বা কারা বিষ প্রয়োগ করেছেন তা আমি জানি না। আর একজন স্বাক্ষী
এন্তার আলীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। এব্যাপারে বিবাদী সালামের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্ঠা করেও সম্ভব হয়নি। রৌমারী সদর ইউপি সদস্য ফিরোজ আহমেদ ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, , বিষ প্রয়োগে ধান ক্ষেত নষ্ট হয়েছে তা সত্য। তবে কে বা কারা নষ্ট করেছে তা জানা যায়নি। পারিবারিক অন্যান্য বিষয় নিয়ে, মিমাংশার
লক্ষে এলাকায় বৈঠকের কথা বলা হয়েছে। ধান কাটাকাটি হলে বসে সমাধান করা হবে।
এএসআই হামিদুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখি বিষ প্রয়োগে ধান পুড়ে ফেলার ঘটনা সত্য। তবে কে বা কারা করেছে তার তদন্ত চলমান রয়েছে। রৌমারী থানা অফিসার ইনচার্জ রূপ কুমার সরকার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ আবু সাহিদ। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: রাশেদা ম্যানশন, ৯৮৬, মধ্যম রামপুর হালিশহর, চট্টগ্রাম | যোগাযোগ: 01869-600700, E-mail: [email protected]
Powered by somoyernews.com | Designed by F.A.CREATIVE FIRM LTD.