চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নিজ বাড়ীতে কৃষক খুন ,আহত এক

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :   ৮ মে (সোমবার) গভীর রাতে  উপজেলার সরল ইউনিয়নের হাজীরখীল এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, এসময় এক জন মহিলা ও আহত হয়েছেন জানা যায় তিনি নিহত ব্যাক্তির স্ত্রী।নিহত ব্যক্তি হাজীরখীল গ্রামের বানুসোন বর বাড়ীর মৃত্যু মাহফুজ মিয়ার ছেলে মোঃ হামিদ উল্লাহ (৩৮)।এসময় নিহত হামিদ উল্লাহ”র স্ত্রী মর্তুজা বেগম (২৮) গুরুতর আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।নিহত হামিদ উল্লাহর ৪ ছেলে ১ কণ্যা সন্তানের জনক।স্থানীয় ও নিহতের পারিবারিক সুত্রে  জানা যায়,জায়গা-জমি বিরোধ ও সাম্প্রতিক র‍্যাবের ক্রস ফায়ারে নিহত জাফর আহমদ প্রঃ জাফর মেম্বার এবং তার ভাই খুলিলুর রহমান এর পরিবারের সাথে নিহত হামিদ উল্লাহ’র সাথে বিরোধ ছিল,ওই বিরোধের জের ধরে এই চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।তবে নিহতের এক বোন বলেন,সাম্প্রতিক সময়ে র‍্যাবের ক্রস ফায়ারে ওই এলাকার জাফর আহমদ প্রঃ জাফর মেম্বার এবং তার ভাই খলিলুর রহমান নিহতের ঘটনার পর থেকে নিহত জাফর আহমদ এবং খলিলুর রহমানের ছেলেরা আমার ভাই হামিদ উল্লাহকে র‍্যাবের সোর্স সন্দেহ করে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছিল।ওই বিষয়কে কেন্দ্র করে সোমবার গভীর রাতে জাফর আহমদ এবং খলিলুর রহমানের ছেলে মোর্শেদ, মুনাফ, মিনহাজ ও এহসানসহ ৭/৮ জন মিলে লম্বা কিরিচ নিয়ে আমার ভাইকে খুন করেছে এবং আমার ভাইয়ের বৌ মর্তুজা বেগমকে গুরুতর আহত করেছে।
আমি সরকার ও প্রশাসনের কাছে আমার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাথে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। এব্যাপারে বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি কামাল উদ্দিন পিপিএম জানান,জায়গা-জমির বিরোধ ও সাম্প্রতিক র‍্যাবের ক্রস ফায়ারে জাফর আহমদ প্রঃ জাফর মেম্বার এবং তার ভাই খলিলুর রহমান নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামিদ উল্লাহ নামের লোকটা নিহত হয়েছে প্রাথমিক তথ্য উঠে এসেছে।তবে এখনো পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এই সংক্রান্তে কোন এজাহার দেয়নাই।এজাহার জমা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।তবে ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের জন্যে পুলিশের অভিযান চলছে।