বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা মমতা পরিদর্শন করেন মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি-এমআরএ এর এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফসিউল্লাহ্। দিনব্যাপী এ পরিদর্শনে মমতা’র বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি। দিনের শুরুতে তিনি মমতার প্রধান কার্যালয়ের বঙ্গবন্ধু কর্ণার, নগরীর আমবাগানে মমতা শিশু সুরক্ষা কর্মসূচির চাইল্ড স্পেস সেন্টার ও মমতা নগর মাতৃসদন লালখান বাজার এর কার্যক্রম পরিদর্শণ করেন। এছাড়াও মমতার পরিচালিত মমতা নগর মাতৃসদন হাসপাতাল-৪ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি এমআরএ এর এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফসিউল্লাহ্ । শনিবার ৮জুলাই নগরীর পূর্ব শহীদ নগরস্থ হাজী ইসলাম ভিলায় এ উদ্বোধন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

চসিক ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি-এমআরএ এর নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ মাজেদুল হক ও পরিচালক মো. নূরে আলম মেহেদী। এসময় বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাহী রফিক আহামদ, উপ-প্রধান নির্বাহী মো. ফারুক। উপস্থিত ছিলেন এমআরএ-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক সৈয়দ আশিক ইমতিয়াজ, মমতার সহকারী প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ শাহারিয়ার, সিনিয়র পরিচালক স্বপ্না তালুকদার, পরিচালক তৌহিদ আহমেদ, ইকবাল আল মাহামুদ সহ অন্যান্যরা।

এছাড়াও একইদিন বিকেলে নগরীর আগ্রবাদস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে মমতার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান সভায় বঙ্গবন্ধু উচ্চশিক্ষাবৃত্তি, অস্বচ্ছল পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করেন প্রধান অতিথি মো. ফসিউল্লাহ্। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মমতা’র কার্যকরী পরিষদের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম যোসেফ, সাধারন সম্পাদক মনসুর মাসুদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমআরএ-এর এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফসিউল্লাহ্ বলেন, বর্তমানে দেশে বছরে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা ক্ষুদ্রঋনদানকারী প্রতিষ্ঠান সমুহের মাধ্যমে লেনদেন হচ্ছে যা আমাদের বাজেটের বিরাট একটি অংশ। ক্ষুদ্রঋনদানকারী প্রতিষ্ঠান বা এমএফআই সমুহ এখন আর্থিক কার্যক্রম ছাড়াও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এবং আমাদের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে, যা কোনক্রমে অস্বীকার করার উপায় নেই। মমতা’র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মমতা সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এসময় তিনি আরও বলেন, মমতা মাতৃসদনের মাধ্যমে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে স্বল্পমূল্যে প্রসবকালীন সেবা, মাতৃসেবা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। যা এ সংস্থাটির মানবকল্যানমূখী পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক বলে বিবেচিত হবে।