প্রেস বিজ্ঞপ্তি: গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ খ্রিঃ তারিখ দুপুর অনুমান ১৫.০০ ঘটিকায় ভিকটিম ০৫ বছর বয়সের শিশু বাড়ির উঠানে খেলাধুলা করার সময় প্রতিবেশী মোঃ শিপন (২৭), ফুসলাইয়া ভিকটিম ০৫ বছর বয়সের শিশু কন্যাকে তার ঘরে নিয়া যায় এবং সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। ভিকটিম এর মা তার মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করে কান্নরত দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শিশু কন্যা তার মাকে ধর্ষণের কথা বলে। পরবর্তীতে ভিকটিমকে প্রথমে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ওসিসি) তে চিকিৎসা করান। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম এর মা চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানার একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-২১ তারিখঃ-১৮/০২/২০১৭ খ্রিঃ, ধারাঃ- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১)।
তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত শেষে পলাতক আসামী মোঃ শিপনের বিরুদ্ধে চন্দনাইশ থানার অভিযোগপত্র নং- ১২৮, তারিখ- ২১/০৬/২০১৭ইং ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১) বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন। মামলাটি বর্তমানে বিজ্ঞ বিচারক, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল নং- ০১, চট্টগ্রাম আদালতে বিচারাধীন আছে। ঘটনার পর থেকে আসামী আত্মগোপন করে দীর্ঘ ০৫ বছর যাবৎ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করতে থাকে। সর্বশেষ সে সবার চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য আনোয়ারা থানা এলাকায় অবস্থান করতে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতা র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ধর্ষনকারীকে গ্রেফতারের লক্ষে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি চালায়। গোয়েন্দা নজরদারির একপর্যায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, ধর্ষণকারী চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানাধীন চাতুরী চৌমুহনী এলাকা অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণকারী আসামী মোঃ শিপন (২৭), পিতা -মোঃ সেলিম, সাং-কেশুয়া, থানা- চন্দনাইশ, জেলা- চট্টগ্রামকে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত ধর্ষণের কথা স্বীকার করে।
উক্ত আসামী পলাতক থাকায় বিচারকার্য বিলম্বিত ও ভুক্তভোগী পরিবার ন্যায় বিচার হতে বঞ্চিত হচ্ছিল। ০৫ বছর বয়রেস শিশু ধর্ষনকারী পলাতক আসামী মোঃ শিপনকে গ্রেফতারের ফলে বিচারকার্য তরান্বিত হবে এবং ভুক্তভোগী পরিবার ন্যায় বিচার পাবে। উল্লেখ্য যে, প্রতিবেশী মোঃ শিপন (২৭), বাদীর মেয়ে শিশু কন্যা’কে বিভিন্ন সময় আদর সোহাগ করতো। প্রতিবেশী হিসাবে শিশু কন্যাকে আদর করলেও বাদী কখনো আসামীকে সন্দেহের চোখে দেখে নি। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ আবু সাহিদ। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: রাশেদা ম্যানশন, ৯৮৬, মধ্যম রামপুর হালিশহর, চট্টগ্রাম | যোগাযোগ: 01869-600700, E-mail: [email protected]
Powered by somoyernews.com | Designed by F.A.CREATIVE FIRM LTD.