শারদীয় দুর্গোৎসবের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬০২টি পুজা মন্ডপের মধ্যে ৩৯৪ টিকে সাধারন ও ২০৮টিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেছে পুলিশ। এর মধ্যে নাসিরনগরের ১৪৮টি মন্ডপকেই সাধারনের তালিকায় রাখা হয়। পুজা উদযাপনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়। মূলত ‘ঝুঁকিপূর্ণগুলোকে’ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরে নেয় পুলিশ।
তবে নাসিরনগর পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক নির্মল চৌধুরী তার দেওয়া বক্তব্যে তাঁর এলাকার পুজা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালের ৩০ নাসিরনগরে যে সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছিল সেসব মামলার আসামীরা এখন জামিন পেয়ে ঘুরাফেরা করছেন। যে কারণে তাদের এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে পুজা করা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারার শঙ্কায় সেখানে তিনি বাড়তি নজরদারির আবেদন জানান।
শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সোমেশ রঞ্জন রায়, সঞ্জীব সাহা বাপ্পী, নিতীশ চন্দ্র রায়, মন্টু রঞ্জন সাহা, সঞ্জয় সাহা, কার্তিক চৌধুরী, সঞ্জয় চৌধুরী প্রমুখ।
সভা থেকে পাওয়া তথ্য মতে, এবার জেলায় সবচেয়ে বেশি ১৪৮টি পুজা হবে নাসিরনগরে। এছাড়া নবীনগরে ১৩৩টি, সদরে ৭৯টি, বিজয়নগরে ৫৭টি, কসবায় ৫২টি, সরাইলে ৪৮টি, বাঞ্ছারামপুরে ৪৬টি, আখাউড়ায় ২৩টি ও আশুগঞ্জে ১৬টি মন্ডপে পুজা অনুষ্টিত হবে। গত বছরের তুলানায় এ বছর ১১টি বেশি মন্ডপে পুজা হবে। পুলিশের তুলে ধরা তথ্য অনুযায়ি, নাসিরনগরের পাশাপাশি কসবা উপজেলায় কোনো গুরুত্বপূর্ণ মন্ডপ নেই। সদরের ৫৭টি, আশুগঞ্জের ১৬টি, সরাইলের ৩২, নবীনগরের ৪৬টি, বাঞ্ছারামপুরের ১২টি, আখাউড়ার ২০টি, বিজয়নগরের ২৫টি মন্ডপকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়।
পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘সার্বিক প্রেক্ষাপটে ধরে নিতে হতে এবারের পুজোয় অনিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এ জন্য আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। তবে গুজবে কান দেওয়া যাবে না। কিছু একটা ঘটলে আমাদেরকে ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।’ যেকোনো প্রয়োজনে পুলিশ জানাতে তিনি আহবান জানান।
পড়েছেনঃ ১০১