
এবার শুধু গরু চুরি নয়।কালো মুখোশ পরিহিত ডাকাত দল হানা দেয় চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার জোয়ারা ইউনিয়নের ১নং ফতেহনগর ওয়ার্ডে।
সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায় ,২৮ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার রাত ২:৪৬ মিনিটে ডাকাত দল কালো রঙের হাইচ গাড়ি নিয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে গ্রামে প্রবেশ করে প্রথমেই পাশ্ববর্তী বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।ক্যামেরার লাইন কেটে ফেলায় স্বয়ংক্রিয় ভাবে সংকেত বেজে উঠলে বাড়ির লোকজন জেগে উঠে।
জানা যায়,চক্রের সদস্যরা শিকদার পাড়ার রিয়াজুদ্দিনের গোয়াল ঘরে দেয়াল টপকে ঢুকে পড়লেও গরু নিয়ে বের হওয়ার সময় আশেপাশের মানুষ জেনে যায়। এলাকাবাসী পুরো ডাকাত দলকে ঘেরাও করে ফেললে, ডাকাত দল এলোপাথাড়ি গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগীরা জানায়,হাইচ গাড়িসহ ডাকাত দলকে ধাওয়া করলেও থানা পুলিশ সঠিক সময়ে এগিয়ে না আসায় তাদের কে আটক করা যায় নি।থানা পুলিশের দেরিতে উপস্থিতির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন স্থানীয় ১নং ইউপি সদস্য।
আহতরা হলো, ওই এলাকার মো. ইদ্রিসের ছেলে মোহাম্মদ আরাফাত (২৭), মো. ইলিয়াসের ছেলে মোহাম্মদ ইব্রাহিম সায়মন (৫৮), সাইফুল ইসলামের ছেলে সাজেদুল ইসলাম (১৯), আব্দুল মবিনের ছেলে মঈনুদ্দিন মিনার(২২) ও আব্দুল বারেকের ছেলে রবিউল হাসান।
আহতদের চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরাফাত, রবিউল এবং সাজেদুল ইসলামের অবস্থা গুরুতর দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ ও সচেতন মহল এই ধরনের গোলাগুলি করে গুরু চুরির ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন;” থানার এতো কাছাকাছি আমরা, বিভিন্ন জায়গায় সিসি টিভি ক্যামেরাও আছে অথচ পুলিশ এইসব ডাকাত দলকে এখনো খুঁজে পায় নি”। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সশস্ত্র ডাকাত দলকে প্রতিরোধ করলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গা বাচিঁয়ে চলছেন। এছাড়া গরু চুরি করতে এসে এভাবে গুলি করা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এর পেছনে অন্য কোন রহস্য থাকতে পারে।প্রশাসনকে তা খতিয়ে দেখতে হবে।
ঘটনার পর থেকে এলাকাবাসী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবায়দুল ইসলাম ডাকাতদের গুলিতে ৫/৬ জন আহত হওয়ার কথা স্বীকার করলেও, নিজেদের নির্লিপ্ততার কথা অস্বীকার করেন। আহতদের অবস্থা গুরুতর নয় উল্লেখ করে,অস্ত্রসহ ডাকাতদের গরুচোর বলে ধরতে অভিযান চালাচ্ছেন বলে জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গ্রামীণ অত্যন্ত সরুরাস্তা দিয়ে ডাকাতদল হাইচ গাড়িতে করে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়ির সাথে মুখোমুখি হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি,গাড়ির নং পুলিশের দেখার কথা।এই বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করেন তারা এবং অবিলম্বে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উল্লেখ, এর আগেও চন্দনাইশের অসংখ্য গরু চুরির ঘটনা ঘটলেও গরু চুরি করতে শর্টগান নিয়ে মাইক্রোবাস ব্যবহার করে এ ধরনের ঘটনা এবার প্রথম।এর নেপথ্যে ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে অভিমত বিশিষ্টজনদের