দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এদেশের মানুষের আস্থার প্রতীক – এইচ এম রাশেদ খান

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের প্রয়োজনে গণতন্ত্রের জন্য গৃহিণী থেকে রাজপথে নেমেছেন, স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটিয়ে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন, দেশ ও জনগণের মুক্তির জন্য ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। দেশ এবং জাতির কল্যাণে অবদানের জন্য ইতিহাসের পাতায় তাঁর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। দেশ ও জনগণের স্বার্থে তিনি কোন অপশক্তির কাছে আপস করেননি। গণতন্ত্রেও উপর যতবার আঘাত এসেছে তিনি স্বমহিমায় দ্যুতি ছড়িয়েছেন। কিন্তু বৃদ্ধ বয়সেও তাকে কর্তৃত্ববাদী হায়েনা সরকার কর্তৃক নানারূপ জুলুম, অবিচারের শিকার হতে হয়েছে। সাজানো মিথ্যা মামলায় তিনি ৭বছর জেল কেটেছেন। প্রিয়নেত্রীকে তাঁর ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। চিকিৎসকরা বার বার বলা স্বত্তেও উন্নত চিকিৎসা থেকে তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আজকে ফ্যাসিস্ট খুনী হাসিনা তার সীমাহীন দুর্নীতি ও দু:শাসনের জন্য পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছে। বিএনপিকে ধবংস করতে গিয়ে আওয়ামীলীগ আজ নিজেরাই ধবংস হয়েছে। এদেশের মানুষ তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা মানুষ অদ্যাবধি বিএনপি তথা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের উপরে আস্থা রেখেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এদেশের সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক।

আজ ১৬ আগস্ট (শুক্রবার)  বাদে আসর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র ৮০ তম জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা এবং সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপার্সন, আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র আশু রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, আমাদের নেত্রী, গণতন্ত্রের মা চরম অসুস্থ হওয়া সত্তে¡ও শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ফ্যাসিস্ট সরকার তাকে বিদেশে যেতে দেইনি। তারা আইনের কথা বলে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছিল। আমাদের নেত্রীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাবন্ধি করে রাখা হয়েছিল। কিন্ত তিনি অপশক্তির কাছে মাথা নত করেননি। জিয়া পরিবার ও বিএনপির বিরুদ্ধে তাদের সকল ষড়যন্ত্র আজ ব্যর্থ হয়েছে। আমরা মহান আল্লাহ পাকের নিকট প্রার্থনা করি তিনি যেন প্রিয়নেত্রীকে দ্রুত সুস্থতা ও উত্তম হায়াত দান করেন।

মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে শরিক হন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার, সেলিম রেজা, হারুন আল রশিদ, মামুনুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, সিরাজুল ইসলাম, এম. আবু বক্কর রাজু, সহ-সাধারণ সম্পাদক তারেক আহম্মেদ, সাজ্জাদ হোসেন, দিদার হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক খান, নাছির উদ্দিন, সাইফুল আলম দিপু, মিজানুর রহমান সাইফুল, প্রচার সম্পাদক আকবর হোসেন মানিক, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ মনি, সহ-প্রচার সম্পাদক জহির ইসলাম, সহ-দপ্তর সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম,বায়েজীদ থানা আহবায়ক আলতাফ হোসেন, ইপিজেড থানা আহবায়ক ইউসুফ সুমন, কোতোয়ালী থানা আহবায়ক এন মোহাম্মদ রিমন, চান্দগাঁও থানা আহবায়ক সাজিদ হাসান রনি, পাঁচলাইশ থানা আহবায়ক শফিউল আলম শফি,পাহাড়তলী থানা আহবায়ক আনিসুজ্জামান পাটোয়ারি টুটুল, আকবর শাহ থানা আহবায়ক হাসান মাহমুদ, বাকলিয়া থানা আহবায়ক দুলাল মিয়া, চান্দগাঁও থানা সদস্য সচিব মো. শহীদুজ্জামান, আব্দুর রশিদ টিটু, মো. পারভেজ, জহুরুল ইসলাম জহির, মীর কাশেম, মিনহাজ উদ্দিন সোহেল, সাদ্দাম হোসেন, সাঈদ ইসলাম বাপ্পি, শাহালম, মোক্তার হোসেন প্রমুখ।