চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক  ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন,অস্ত্রবাজ, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি করলে  তাকে আইনের  হাতে তুলে দিন।আওয়ামীলীগ সরকার বিগত ১৬ বছর ক্ষমতা থাকা কালীন সময় দেশদেশের প্রতিটি এলাকায় এলাকায়  সন্ত্রাসীদের আস্তানা গড়ে উঠেছিল। সেই সকল সন্ত্রাসীরা অবৈধ  অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি করেছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। ওই সকল সন্ত্রাসীরা এখন আত্মগোপনে আছে। তাদের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে এবং তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তাদের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না হলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ গড়ার সম্ভব হবে না। এখনো পর্যন্ত ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন জায়গায়  চাঁদাবাজি করছে। ঐ সমস্ত সন্ত্রাসীদের  খোঁজে বের করতে হবে।

তিনি ৩০ আগস্ট, শুক্রবার, সন্ধ্যায়  সন্ত্রাসী ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে পূর্ব বাকলিয়া বলিরহাট  ইউনিট বিএনপি'র প্রতিবাদ সমাবেশে  প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ।

ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন,‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার বয়স ৫৩ বছর চলছে। এত দিন আমরা স্বাধীন দেশে বসবাস করেছি, কিন্তু বাস্তবিক অর্থে স্বাধীন ছিলাম না। আওয়ামি সরকার ১৬ টি বছর জনগণের উপর নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়েছিল। এরা দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছে। ১৬ বছরে রাস্তায় নামলে খুন হতে হতো,  ঘরে থাকলে গুম হতে হতো।

ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, ভারত ফারাক্কা বাঁধ দিয়েছে।কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৬ বছরের  তিস্তার সমস্যা সমাধান করেনি। ভারত প্রত্যেক বছর বাংলাদেশের মানুষকে পানি দিয়ে ডুবিয়ে দেয়। আজ কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, মিরেশ্বরাই, ফটিকছড়িসহ চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ বন্যায় মানুষ  গৃহীন ও অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমি বিত্তশীলদের প্রতি আহ্বান জানাবো  বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।

বিএনপি নেতা আব্দুর সবুরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল  আব্দুল্লাহ আল ছগির, হাজী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এমদাদুল হক বাদশা,আরো বক্তব্য রাখেন

 জসিম উদ্দিন, মোঃ আলমগীর, মুজিবুর রহমান , সাইফুল আলম, জসিম উদ্দিন, ইসমাইল হোসেন লেদু, মো.মুছা, আজিজুল হক মাসুম, মাহাবু মাষ্টার,মো. ইয়াকুব,মো. মান্নান, মো.ফরিদ, মো.ইউনুচ,মো. সাহেদ, মো.জাবেদ, মো.সুমন, মো.অপু, মো.রাজু, মো.পারভেজ, বিএনপি নেতা সিরাজ, মো.হারুন, মো.নাছের, মো.রিফাত প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।