![](https://somoyernews.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
প্রফেসর লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবঃ) ডক্টর এম শফিকুল আলম ১৯৫৫ সনে মাইটভাঙ্গা খন্ডিল্যার গো বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা- হাজী সফি উল্লাহ সওদাগর। বর্তমান বাড়ী সন্দ্বীপ উপজেলার মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নের চৌধুরী বাজার দিঘী ও মাইটভাঙ্গা হাই স্কুল সংলগ্ন।
তিনি ১৯৭০ সালে মাইটভাঙ্গা হাই স্কুল হতে এসএসসি পাস করেছেন। চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ হতে ১৯৭২ সালে এইচএসসি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৭৫ সালে অনার্স ডিগ্রী ও ১৯৭৬ সালে মাস্টার ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৯৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ হতে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন।
ডক্টর শফিক জানান, তিনি সরকারি, বেসরকারি কলেজ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আগ্রহ ও আন্তরিকতার সাথে শিক্ষকতা জীবন পালন করেছেন।
১৯৭৯-১৯৮০ সালে তিনি চট্টগ্রামের রাউজান ডিগ্রী কলেজ ও পটিয়া সরকারি কলেজে বছর খানিক শিক্ষকতা করেন।
১৯৮০-৮৯ সন চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজে শিক্ষকতা করেন।
১৯৮৯-৯৮ সন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অফিসে সেক্রেটারি, ডেপুটি রেজিস্টার তথ্য পদে চাকুরী করেন।
১৯৯৮-২০২০ সন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগে শিক্ষকতা করেন।
১৯৭৯-২০২০ সন বিএনসিসি অফিসার পিইউও, সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট, লেফটেন্যান্ট ক্যাপ্টেন, মেজর ও সর্বশেষ লে. কর্নেল কমান্ডার হিসাবে ৪২ বছর চালিয়ে নিয়ম অনুযায়ী সরকারি গ্রেড ওয়ান প্রফেসর পদোন্নতি উন্নতি সহ শিক্ষকতার জীবন থেকে ২০২০ সনে অবসর গ্রহণ করেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একই দিনে লেফটেন্যান্ট কর্নেল (কমান্ডার) পদের মর্যাদা সহ বিএনসিসি কার্যক্রমের সমাপ্ত করে অবসরপ্রাপ্ত হন।
প্রফেসর ডক্টর এম শফিকুল আলমের চারটি পুস্তক পূর্বে দুটো বাংলা ও দুটো ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। আরো পাঁচটি পুস্তক, তিনটি বাংলা ভাষায়, দুটো ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হওয়ার পর্যায়ে আছে।
তাঁর লিখিত পঞ্চাশের বেশি উচ্চ মাপের একাডেমিক প্রবন্ধ দেশ-বিদেশে প্রকাশিত হয়েছে।
বিভিন্ন সময়ে দেশ-বিদেশে অনুষ্ঠিত আমন্ত্রণে যোগদান করে নিজের আর্টিকেলস উপস্থাপন করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি প্রফেসর ও সুপারভাইজার হিসেবে দর্শন বিভাগের ১৩ (তের) জন গবেষককে এমফিল/পিএইচডি (গঢ়যরষ/চযফ) ডিগ্রী প্রদান করেছেন। তাদের মধ্যে সন্দ্বীপেরও একজন গবেষক আছেন। শুধু বাংলাদেশে নয় বহু দেশের অনেক উচ্চতর গবেষককে ডক্টর শফিক এক্সটার্নাল পরীক্ষক হিসেবে এমফিল/পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করেছেন।
প্রফেসর লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবঃ) ডক্টর এম শফিকুল আলমের সন্তানেরা শিক্ষা-দীক্ষা-মন-মানসিকতা-জীবন-যাত্রায় অনেক উপরিস্ত অবস্থানে পৌঁছেছেন। তিন কন্যা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
তারা আমেরিকা, কানাডা পিএইচডি ডিগ্রি হোল্ডার।
তাঁর বড় মেয়ে চ.বি মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি।
দু’জন, যথাক্রমে ম্যাকগিল ও ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি কানাডায় পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রী সমাপ্তির পর্যায়ে আছে।
তাঁর চতুর্থ মেয়ে বুয়েট ইঞ্জিনিয়ার, আমেরিকা ডিসি’তে সরকারি চাকুরিরত আছেন।
ছোট দু’জন পড়াশোনায় ব্রত। তাঁরা আমেরিকা ও কানাডায় অবস্থান করছেন। ডক্টর শফিক সকলের কাছে তার সন্তানদের জন্য দোয়া কামনা করেছেন।
তিনি দেশ-বিদেশে বহু কনফারেন্সে যোগদান করেন। নিজের লেখা প্রবন্ধ (বাংলা ও ইংরেজি) অনেক অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করেন। শিক্ষাকে কেন্দ্র করে তিনি উন্নত অনেক দেশ ভ্রমণ করেন।
সন্দ্বীপের মাইটভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র হিসাবে প্রফেসর লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবঃ) ডক্টর এম শফিকুল আলমকে কথা প্রসঙ্গে আগামী ২৫ ডিসেম্বর মাইটভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রী ফোরাম সন্দ্বীপ চট্টগ্রামের সম্মেলন প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন- ‘অত্র স্কুল থেকে পাশকৃত সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে একান্ত আগ্রহী’। তার বিশ্বাস, ‘আমরা একসঙ্গে কাজ করলে স্কুল ও শিক্ষার উন্নতি, শিক্ষিত তরুণ নবীন সম্প্রদায়ের অগ্রগতি, আমাদের সকলের কার্যক্রম, মন-মানসিকতা, সামাজিক মূল্যবোধ দ্রুত এগিয়ে যাবে। ফলে, সামগ্রিকভাবে আমাদের নিশ্চিত কল্যাণ হবে।’ তিনি সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।