
কুমিরা গুপ্তছড়া ঘাট সন্দ্বীপ যাতায়াতের নিরাপদ মাধ্যম। এমনটাই প্রত্যাশা করেছেন বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা লায়ন অধ্যাপক আসলাম চৌধুরী।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাট সম্পর্কে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ওই বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমি ও আমার পরিবারের রাজনীতি হচ্ছে জনকল্যাণমুখী। সেখানে অন্যের দুর্ভোগ হয় এমন কোন কর্মকাণ্ডের স্থান নেই। সীতাকুণ্ড ও সন্দ্বীপের সাথে আমার সম্পর্ক আত্মার, হৃদয়ের। উত্তর চট্টগ্রামের মানুষের সুখ দুঃখে পাশে থাকতে আমার যে রাজনীতি, সমাজসেবা তার বাইরে নয় দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের মানুষ। এপার-ওপারের মানুষের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে আমি প্রস্তুত আছি।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, নান্দনিক সৌন্দর্য্যের অপূর্ব নিদর্শন দ্বীপবেষ্টিত সন্দ্বীপ চট্টগ্রাম জেলার ঐতিহ্যবাহী একটি জনপদ। চট্টগ্রাম থেকে এ অঞ্চলে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম সীতাকুণ্ডের কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাট। সাম্প্রতিক সময়ে ঘাটের ইজারাদার ও সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের নানা ভুল বুঝাবুঝিতে অপ্রাসঙ্গিকভাবে আমার নামটিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে আসে। যার প্রেক্ষিতে আমি গত ১০ জানুয়ারী একটি বিবৃতি দিয়ে সন্দ্বীপের মানুষের প্রতি আমার ভালবাসা, দায়িত্ব এবং তাদের পাশে ইতিবাচক অবস্থানের কথা তুলে ধরি।
এতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, মূলত সন্দ্বীপ-সীতাকুণ্ডের মানুষের সম্পর্কটা অত্যন্ত আন্তরিক এবং নিগূঢ় বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। সীতাকুণ্ড তথা উত্তর চট্টগ্রামের মানুষের সুখে-দুঃখে থাকার প্রত্যয়ে আমার যে রাজনীতি তার বাইরে নয় সন্দ্বীপ। তাই আমার প্রত্যাশা থাকবে, সীতাকুণ্ড থেকে সন্দ্বীপ যাতায়াত হবে নির্বিঘ্ন, আনন্দময় এবং সকলের সাধ্যের মধ্যে। সন্দ্বীপ পারাপারে ঘাট থেকে বোট, স্টিমার, লঞ্চে উঠানামার যে দুর্ভোগ সেটি লাঘবে সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নোবেন এটাই আমার প্রত্যাশা। সেইসাথে দু পাড়ের সড়কগুলোও হবে উন্নত এবং মসৃণ সেই আশাবাদও ব্যক্ত করছি।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে সরকার সন্দ্বীপকে নৌ-বন্দর ঘোষণা করায় আমি আন্তরিক সাধুবাদ জানাই। আশা করব দ্রুত এ ঘোষণা বাস্তবায়িত হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে অধীর আগ্রহ নিয়ে আছি, অচিরেই ফেরী পারাপারের মাধ্যমে গাড়ী নিয়ে সন্দ্বীপ যাতায়াত করব ইনশাল্লাহ। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণেই সন্দ্বীপ এবং সীতাকুণ্ডবাসী পরম আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ। মহান আল্লাহ আমাকে যেনো তাদের সেবা থেকে কখনও বঞ্চিত না করেন সে প্রত্যাশা সবসময় অন্তরে লালন করি।
বিবৃতিতে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা আরও বলেন, পরিশেষে বলতে চাই, সন্দ্বীপের মানুষের আশা-আকাংখার পুরোপুরি প্রতিফলন হোক সেটাই আমার একমাত্র চাওয়া। এখানে সরকার, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, দপ্তর, ইজারাদারসহ স্টেকহোল্ডারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইতিবাচক গুণগত সেবা নিশ্চিতে যেন কোন প্রকার বিঘ্ন না ঘটে সে ব্যাপারে সবাইকে আন্তরিক ও সচেষ্ট হওয়ার আহবান জানাই।