
সীতাকুণ্ডের বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর মানহানি করার উদ্দেশ্য বেসরকারি টিভি চ্যানেলে মিথ্যাচার করার অভিযোগ ওঠেছে। একইসাথে জামায়াতকে জড়িয়েও মিথ্যাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন নিজাম উদ্দিন চৌধুরী ও উত্তর জেলা যুবদল নেতা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন। এছাড়াও ভুক্তভোগী জাহাজ ব্যবসায়ী ফেসবুকে লাইভে এসে আসল ঘটনা খোলাসা করেছেন।
এর আগে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা লায়ন আসলাম চৌধুরীর ভাই নিজাম উদ্দিন চৌধুরীকে নিয়ে খবর অনএয়ার করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, বিএনপি নেতা সাদেক জাহাজ ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে জিম্মি করে ১০ লাখ টাকা আদায় করে। ওই ব্যবসায়ীকে মামলার জালে আটকিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করেন তারা। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। যা টক অব দ্য সীতাকুণ্ডে রূপ নেয়।
তবে নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন নুর উদ্দিন নামপ ওই ব্যবসায়ীর সাথে মোমিনুল নামে আরেকজন ব্যবসায়ীর দ্বন্দ্ব মিটাতেই তিনি সেখানে যান। উপকারের স্বার্থে তিনি উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করেছিলেন মাত্র।
উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, আমরা কোন টাকা নিইনি। তৃতীয় পক্ষের সাথে ঝামেলা বা বিরোধ মিটাতে আমরা মধ্যস্থতা করি।
এদিকে গতকাল রাতে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী নুর উদ্দিন ও তার স্ত্রী লাইভে এসে জানিয়েছেন এ ঘটনায় নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জড়িত নয়। তারা কোন টাকা নেননি। তৃতীয় পক্ষ অসৎ উদ্দেশ্য এই ভিডিওটি করে পোস্ট করে দেয়। তারা এটির সাথে জড়িত নয়। সম্মানীত ব্যক্তিদের মানহানি করতেই এমন কাজ করা হয়েছে উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে।
তারা আরও জানিয়েছেন, তাদের সাথে মোমিনুল নামে একজনের দীর্ঘ দিন ধরে ঝামেলা হয়ে আসছে। জাহাজ বিক্রির টাকা নিয়ে সেই ঝামেলার সৃষ্টি। মোমিনুল নুর উদ্দিনকে দীর্ঘ দিন নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। আওয়ামী লীগ আমলে বিএনপি জামায়াত বলে তাকে জেল খাটিয়েছেন। আর এখন আওয়ামী লীগ বলে জেলে দিয়েছেন। তার বাড়ি রাজবাড়ি জেলায় হলেও তাকে জোরারগঞ্জ থানার মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
জানা গেছে, কয়েকদিন আগে নুর উদ্দিন জোরারগঞ্জ থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে যান। নুর উদ্দিন নগরের কর্ণেলহাটের বাসিন্দা। তিনি জাহাজের ক্যাপ্টেন হিসেবে পরিচিত। একইসাথে তিনি জাহাজের ব্যবসায়ী।