নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া :
এক সময় এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতেন গ্রামের মানুষজন হাঁসি মুখে। স্কুলে যেতো শত শত শিক্ষার্থী। ব্যবসায়ীরা পণ্য নিয়ে বাজারে পৌঁছাতেন ঠিক সময়ে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বদলে গেছে স'ড়কটির চেহারা ইট নেই, মাটি নেই, আছে শুধু খানাখন্দ আর কাদায় ভরা দু'র্ভোগের গল্প।
কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পুরাদিয়া -বনকানন স*ড়কটি এখন যেন একটি প্র'তীক হয়ে দাঁড়িয়েছে অবহেলার, ক'ষ্টের এবং অ'ব্যবস্থাপ'নার। এই একটি মাত্র স'ড়ক দিয়ে প্রতিদিন যা'তায়াত করে পুরাদিয়া, ছনখোলার জুম, মৌলভী হাসানের জুম,গর্জনিয়া পাড়া, বড়পাড় ও বনকানন বাজারসহ অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষ। এছাড়াও ৩, ৪, ৫ ও ৭নং ওয়ার্ডের ১০ হাজারের বেশি লোক এই রা/স্তার উপর নি'র্ভরশীল।
বর্ষা মৌসুমে এই সড়ক যেন রূপ নেয় জলকাদার এক স'মুদ্রে। চলাচল একেবারে অসম্ভব হয়ে পড়ে। স্কুলগামী তিন শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন এই দু*র্ভোগ বয়ে বেড়ায়।
এই সড়ক দিয়েই চলাচল করে আহলিয়া ইসলামীয়া বালিকা মাদরাসা, টইটং আরবীয়া জামেউল উলুম মাদরাসা, টইটং উচ্চ বিদ্যালয়, ইকরা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আল হেরা মডেল একাডেমি এবং টইটং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে এলাকাবাসী আর পারলেন না তারা রাস্তায় নেমে এলেন মা'নবব'ন্ধনে। স্লো'গান নয়, তাদের মুখে ছিলো অ'ভিযোগ আর কষ্টের কথা। তারা জানালেন, এই দু*র্দশার চিত্র স্থানীয় প্র'শাসন ও জনপ্রতিনিধিদের বারবার জানানো হলেও কোনো সমাধান হয়নি।
মা'নবব'ন্ধনে ব'ক্তব্য রাখেন, পুরাদিয়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আতাউল করিম, সিরাতুল মুস্তাকিম ফাউন্ডেশন এর সভাপতি মাওলানা রহিম উল্লাহ, মু'খ্যপাত্র
মাওলানা এরশাদ কামাল,
শিক্ষক রহমত উল্লাহ, শের-এ বাংলা মেডিকেল কলেজ এর
শিক্ষার্থী এম সায়েম খান, জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিজবাহ উদ্দিন আসিফ, আব্দুল তুহিন, বিজিবি এর সাবেক সদস্য আবুল শামা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, এ স*ড়কটি টইটংয়ের খুবই গু'রুত্বপুর্ণ। দীর্ঘ সময় ধরে এ স'ড়কটি অবহেলিত। প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষ চরম দু'র্ভোগে আছে। গত ২০ বছর ধরে সংস্কার হচ্ছেনা। সড়ক সং'স্কার এটা আমাদের যুক্তিক দাবি। রাস্তায় নেমে মা'নবব'ন্ধনে সামিল হয়েছি। ক'র্তৃপক্ষকে বিনয়ের সহিত আহবান করছি আমাদের বিপুল জন'গোষ্ঠীর দু*র্ভোগ লাঘব করতে যেন দ্রুত সময়ে স*ড়কটি সং'স্কার করা হয়।
পুরাদিয়ার বাসিন্দা মনজুর আলম বলেন, পুরাদিয়া থেকে হাজিবাজার হেঁটে গেলে লাগে ১০ মিনিট, কিন্তু রা'স্তার কারণে ঘুরে বনকানন হয়ে যেতে লাগে ১ ঘণ্টা!
আরেক বাসিন্দা মনির আহমদ জানান, ১০ বছর আগে রা/স্তার কিছু অংশে ইট ছিল। এখন কিছুই নেই। কাদা আর গর্তে পা মাড়িয়ে প্রতিদিন চলাফেরা করি।
ইউপি সদস্য আবু ওমর জানান,
সড়ক খা'নাখ'ন্দে ভরপুর। বর্ষায় হাঁটা তো দূরের কথা, রো'গী নেওয়ার মত গাড়িও চলেনা। এই সড়কের উন্নয়ন ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই।
এলাকাবাসীর এই স্ব'তঃস্ফূর্ত মা*নবব*ন্ধনে অংশ নেয় সিরাতুল মুস্তাকিম ফাউন্ডেশন, মরহুম ডাঃ ইউসুফ মানবসেবা ফাউন্ডেশন, সিরাতুল মুস্তাকিম আত-তাওহীদ সংগঠন ও উদ্দীপ্ত তরুণ সংঘসহ নানা সামাজিক সংগঠন।
স'ড়ক শুধু ইট-মাটির বিষয় নয়, এটি মানুষের জীবনযাত্রার অংশ। পুরাদিয়া–বনকানন সড়ক যেন আর দু*র্ভোগের নাম না হয় এটাই এখন স্থানীয়দের একমাত্র চাওয়া।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ আবু সাহিদ। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: রাশেদা ম্যানশন, ৯৮৬, মধ্যম রামপুর হালিশহর, চট্টগ্রাম | যোগাযোগ: 01869-600700, E-mail: [email protected]
Powered by somoyernews.com | Designed by F.A.CREATIVE FIRM LTD.