আবুল মনছুর, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
মুসলিম উম্মাহকে জান্নাতের পথ দেখাতে, সীরাতে মুস্তাকীমের সন্ধান দিতে আল্লাহ তায়ালা হযরত মুহাম্মদ সা. কে পাঠিয়েছেন। তিনি সাহাবীদেরকে ইসলামের যাবতীয় বিধিবিধান পুঙ্খানুপুঙ্খ শিখিয়ে গেছেন। সাহাবায়ে কেরাম রা. নিজেদের জীবনকে রাসূল সা. এর আদর্শে সাজাতে এবং কেয়ামত পর্যন্ত অনাগত উম্মতের সুবিধার্থে রাসূল সা. এর দরবারে চব্বিশ ঘণ্টাই পড়ে থাকতেন। রাসূল সা. একটি বাণী কিংবা আমলও যেন ছুটে না যায় সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতেন। আজ চৌদ্দশো বছর পর এসেও হাদীস ও সীরাতগ্রন্থের মাধ্যমে আমরা তা জানার সুযোগ পাচ্ছি। তাই আমাদের উচিৎ রাসূল সা. এর নির্দেশিত পথে জীবন গঠন করা।
বৃহত্তর চট্রলার ঐতিহ্যবাহী সংগঠন আল-আমিন সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত ৩দিনব্যাপী তাফসীরুল কুরআন মাহফিলের দ্বিতীয় দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পটিয়া মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা আবু তাহের নদভী এসব কথা বলেন।
মাওলানা রিজওয়ান আরমানের সঞ্চালনায় তাফসীর মাহফিলে অধিবেশনভিত্তিক ধারাবাহিক সভাপতিত্ব করেন, আল্লামা মুফতী জসীমুদ্দীন, মাওলানা তাজুল ইসলাম, মাওলানা ওসমান সাঈদী, মাওলানা সোলাইমান ও হাবিবুল হক বিন খালেদ।
তাফসীর মাহফিলে বক্তারা আরও বলেন, সমাজ পরিবর্তন জন্য শুধু সেবামূলক কিংবা ক্যাম্পেইন করলে হবে না বরং তরুণ-তরুণীদের চারিত্রিক ও মানসিক পরিবর্তনের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। মোবাইলের মাধ্যমে যাবতীয় অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করতে পারে পবিত্র কুরআন-হাদীসের মাজলিস। আপনারা তরুণ-তরুণীদের চারিত্রিক ও আত্মিক উন্নয়নে ফলপ্রসূ কার্যক্রম হাতে নিন।
তাফসীর মাহফিলে আরও আলোচনা করেন,
মুফতি রশিদুর রহমান ফারুক, মুফতি মাহমুদ হাসান বাবুনগরী, মুফতি মুস্তাকুন্নবী কাসেমী, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মুফতি হারুন ইজহার, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী, মাওলানা আনিসুর রহমান আশরাফী, মাওলানা মাহমুদুল হোসাইন, মুফতি আব্দুল আজিজ, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মারুফ, মাওলানা নজরুল ইসলাম, মাওলানা আহমদুল হক উবায়দী প্রমুখ।