চট্টগ্রামের তিনটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করেছে বিএনপি। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা)আসনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আসনে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-হালিশহর)সাঈদ আল নোমান ও চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড-পাহাড়তলী-আকবরশাহ আংশিক) আসনে মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম-১০ আসনে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নাম ঘোষণা করা হয়। আর চট্টগ্রাম-১১ আসনে কোন নাম ঘোষণা করা হয়নি।
শনিবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মাহবুবের রহমান শামীম।
জানা যায়, গত ৩ নভেম্বর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চট্টগ্রাম-১০ আসনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নাম ঘোষণা করেন। তিনি এর আগের জাতীয় নির্বাচনগুলোতে চট্টগ্রাম-১১ আসনে নির্বাচন করেছিলেন। চট্টগ্রাম-১০ আসনটি বিএনপির প্রয়াত সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের আসন হিসেবে পরিচিত। তিনি এই আসন থেকে বেশ কয়েকবার নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রীও হয়েছিলেন। এবার দলীয় প্রার্থী ঘোষণা প্রথম ধাপে নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমানের নাম ঘোষণা না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তার অনুসারীরা। তাছাড়াও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম-১১ আসনের পরিবর্তে চট্টগ্রাম-১০ আসনে প্রার্থী হওয়ায় দলের ভেতরে বাইরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। চট্টগ্রাম-১০ আসনে তার নাম ঘোষণার পর চট্টগ্রাম-১১ তার ছেলে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু ও নগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান মনোনয়ন পাচ্ছেন এমন গুঞ্জনও ছড়িয়ে পড়ে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনে। এমনকি তারা রিটানিং অফিসারের কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেন। তবে শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম-১১ আসনেই আমির খসরু মাহমদু চৌধুরীর নাম আসল।
এদিকে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড-পাহাড়তলী-আকবরশাহ আংশিক) আসনে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেওয়া প্রার্থী কাজী সালাহ উদ্দিনের পরিবর্তে আসলাম চৌধুরীকে চূড়ান্ত প্রার্থী করেছে বিএনপি। এর আগে গত ৩ নভেম্বর এই আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সালাহ উদ্দিনকে প্রার্থী ঘোষণা করা হলে আসলাম সমর্থকরা তাকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে রেলপথ, মহাসড়ক অবরোধ, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, গাছ ফেলে রাস্তা বন্ধ, সমাবেশসহ নানা প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করে আসছিল। তবে এই সময়ে আসলাম চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ বেশ কয়েকজন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য দল থেকে বহিস্কার হন।