চট্টগ্রাম-৮ আসনে সন্ত্রাসীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হওয়া বিএনপির প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন৷
এসময় তার কাছ বিভাগীয় কমিশনার ড. জিয়াউদ্দিন মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন৷ পরে নেতাকর্মীরা তাকে ঘিরে উচ্ছাস প্রকাশ করেন৷ এসময় এরশাদ উল্লাহ বলেন, আমি নির্বাচিত হলে কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন করা আমার অন্যতম ঈমানী দায়িত্ব হবে৷ কোনভাবেই যেনো এটি আটকে না যায় সেদিকে আমি সদা সচেষ্ট থাকব। এছাড়াও সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজিমুক্ত এলাকা গঠনে আমি বিশেষ ভূমিকা রাখতে চাই। এই আসনে জেলার বোয়ালখালী উপজেলা অন্তভূক্ত৷ আমি বোয়ালখালীর মানুষের দু:খগুলো দূর করতে চাই। কৃষি, কৃষকের স্বার্থ, ফসল উৎপাদনে সহজে যন্ত্রপাতি, সেচ, সারের ব্যবস্থা করব, সেইসাথে জলবায়ু পরিবর্তনে কাজ করব। বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা ও শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে আমূল পরিবর্তন করাই হবে আমার অন্যতম কাজ৷ তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে৷ প্রার্থী ও ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে৷ অন্যথায় সুষ্ঠু ভোট হবে না৷ পলাতক স্বৈরাচারদের হাতে টাকা ও অবৈধ অস্ত্র দুটোই আছে। তারা চাইবে আমাদের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে বাধা দিতে, ভোটে ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে৷ তাই আমি মনে করি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অত্যন্ত সজাগ থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন চালিতাতলী এলাকায় বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ'র নির্বাচনী গণ সংযোগ কালে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এসময় যুবদল কর্মী সরোয়ার বাবলা গুলিতে নিহত হয়। একই ঘটনায় এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এখনো তিনি গুলির ক্ষত নিয়ে নির্বাচনী মাঠে আছেন। তিনি সারাদেশে প্রথম গুলিবিদ্ধ হওয়া কোন সংসদ সদস্য প্রার্থী।
এদিকে শেষদিন সোমবার চট্টগ্রাম- ১১ আসনে বিএনপি'র প্রার্থী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জামায়াতের শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম-১০ আসনে বিএনপির সাঈদ আল নোমান, জামায়াতের শামসুজ্জামান হেলালী, চট্টগ্রাম-৯ আসনে বিএনপির আবু সুফিয়ান, জামায়াতের ডা. ফজলুল হক, চট্টগ্রাম-৮ আসনে জামায়াতের ডা. আবু নাসের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।