প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ১, ২০২৫, ৮:০৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জানুয়ারি ৩১, ২০২২, ১২:০৮ অপরাহ্ণ
সরাইলে কনকনে শীতে জনজীবনে স্বস্তি নেই

মো.তাসলিম উদ্দিন, সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলাজুড়ে কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। এ উপজেলার হাওর এলাকা সহ টানা কয়েক দিন ধরে কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। শহর এলাকা থেকে গ্রামে শীতের তীব্রতা বেশি। এখানে গ্রাম ও হাওর এলাকায় শীতের তীব্র বেশী। এদিকে খুজঁ নিয়ে জানা যায় অনেক গরীব পরিবারের গরম কাপড় পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে সেখানকার মানুষজন পড়েছেন ভোগান্তিতে। উপজেলায় ঠান্ডা জনিত রোগে প্রতিদিন হাসপাতালে শিশু ও বয়স্কদের নিয়মিত ভর্তি অব্যাহত রয়েছে। প্রায় মানুষই জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত। দিনে কিছু সময়ের জন্য সূর্য্যরে দেখা মিললেও শীতের তীব্রতা কমছে না। হাড় কাঁপানো শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন হাওর এলাকার কৃষি শ্রমিকরা, অটোরিকশা চালক গরিব, ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। কষ্টে রয়েছে গবাদিপশুও। নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা চাহিদার তুলনায় একেবারে কম। রবিবার (৩০জানুয়ারি) রাত সাড়ে দশটার দিকে সরাইল উপজেলা চৌরাস্তায় সরাইল- নাসির আঞ্চলিক সড়কে পাশে ঠান্ডা নিবারণ করতে কাগজে আগুন লাগিয়ে তাপ নিতে দেখা যায়। এদের মাঝে অনেকেই গাড়ি চালক বা শ্রমিক।পর্যাপ্ত গরম কাপড়ের অভাবে হাড় কাঁপানো শীতে তারা খুবই কষ্টে দিনযাপন করছেন। শীতে হতদরিদ্র মানুষেরা বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে। চারদিকে শীতজনিত রোগ নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, জ্বর, আমাশয়সহ নানা রোগ দেখা দিয়েছে। হাটবাজারে শীতের কাপড়ের চাহিদা বেড়ে গেছে। অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শরীরে উত্তাপ নিচ্ছেন। মানুষ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। টাকা আছে স্বচ্ছল প্রায় হাতে গোনা কিছু পরিবার স্বাচ্ছন্দে দিন কাটালেও বাকী অংশ মানুষ খুবই দু:খ-কষ্টে দিনযাপন করতে হচ্ছে। রিকশা চালক সিমুল বলেন, ঠান্ডায় যাত্রী কম আর দৈনিক মাত্র দুই-তিনশত টাকা মজুরিতে পাঁচ, সাত সদস্যের পরিবারের সংসারে" যার পা ঘুরতে মাথায় হাত"পান্তা ফুরোয় নুন আনতে" ঘরের বেরা দিয়ে বাতাসে ঠান্ডা ঢুকে। হ্যাঁতা আর সরকারি কম্বলে এখনোর শীত মানে না। আমরা সামান্য রিকশা চালাই ' খাইবো কি আর কাপড় চোপড় কিনবোই বা কি করে? আর বাজারে জিনিস পত্রের দামও যে হারে বাড়ছে তাতে গরম কাপড় কেনা মোটেও সাধ্য নেই। অভাব অনটনসহ সব মিলিয়ে শীতে আমাদের কষ্ট আরও দুর্ভোগ বেড়েছে। দেখেনতো চাদরে মুখ মেরে সবাই হাইট্টা চইলা যাই। রাত সাতটার পর আর কেউ গাড়িতে উঠতে চাই না। কেউ কেউ কাপড় বিছিয়ে ঠান্ডা থেকে রক্ষার চেষ্টা করে আবার কেউ কেউ আগুন জ্বালিয়ে শরীরে গরম ভাপ লাগান।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ আবু সাহিদ। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: রাশেদা ম্যানশন, ৯৮৬, মধ্যম রামপুর হালিশহর, চট্টগ্রাম | যোগাযোগ: 01869-600700, E-mail: [email protected]
Powered by somoyernews.com | Designed by F.A.CREATIVE FIRM LTD.