মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারে গেল বছর জুড়ে ধানের ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় চলতি মৌসুমে ব্যাপকভাবে বোরো আবাদে নেমেছেন কৃষকরা। বোরো চাষাবাদকে ঘিরে মাঠে মাঠে চলছে চারা রোপনের কাজ। মৌলভীবাজারে বসবাসকারীদের সিংহভাগ জনগোষ্ঠীর জীবন—জীবিকার একমাত্র উপায় কৃষিকাজ। আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিক নির্ভর হয়ে পূর্ব পুরুষের এই পেশাকে ধরে রেখে সমৃদ্ধির স্বপ্ন দেখছেন কৃষি নির্ভর মানুষ গুলো। গেল বছর ধানের দাম ভালো পাওয়ায় এ বছরও অনেকেই আগের চেয়ে বেশী জমি আবাদ করছেন। উৎপাদন খরচ কমাতে অনেক স্থানে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে চারা রোপনের কাজ চলছে। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আজমেরু এলাকায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কাজী লুৎফুল বারী রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে স্থানীয় কৃষক ও খামারী সৈয়দ উমেদ আলীর জমিতে চারা রোপনের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সুব্রত কুমার দত্ত, স্থানীয় কৃষক ও রাইস ট্রান্সপ্লাটার মালিক সৈয়দ হুমায়েদ আলী শাহীন, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার নিরোজ কান্তি রায় প্রমুখ।
স্থানীয় কৃষক ও খামারী সৈয়দ উমেদ আলী জানান, গত বছর ৪০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেন। ভালো ফলন ও ধানের ভাল দাম পাওয়ায় চলতি বোরো মৌসুমে ৮০ বিঘা (কেয়ার) জমিতে ব্রি ধান ৮৯, ৯২ ও হাইব্রিড জাতের ধানীগোল্ড, সিনজেন্টার ১২০৩ ধান চাষ করেছেন। রাইস ট্রান্সপান্টারের মাধ্যমে প্রায় ৪৫ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে ২০ থেকে ৩০ দিনের চারা রোপন করছেন। এতে করে শ্রমিক কম লাগায় একারনে উৎপাদন খরচ কমে যাবে। অবশিষ্ট জমিতে পূর্বের পদ্ধতিতে হাতে চারা রোপন করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী জানান, মৌলভীবাজার জেলায় এ বছর ৫৬ হাজার ৮শত হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ৩৭৭ হেক্টর বেশী। ৯০ ভাগ চারা রোপন কাজ শেষ হয়েছে। তিনি আশা করছেন এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী আবাদ ও ফসল ভাল হবে। এ অঞ্চলে শ্রমিকের সংকট রয়েছে, সে কারণে কৃষি বিভাগ ভর্তুকি মূল্যে রাইস ট্রান্সপান্টার অর্থাৎ যন্ত্রের সাহায্যে চারা রোপনের যন্ত্র ভর্তুকি মূল্যে দেয়া হয়েছে। উৎপাদন খরছ কমাতে অনেক স্থানে রাইস ট্রান্সপান্টারের মাধ্যমে চারা রোপনের কাজ চলছে। যেখানে ১ বিঘা জমিতে হাতে চারা লাগাতে ২০০০ টাকা লাগে। সেখানে ১ বিঘা জমি মাত্র ৫‘শ টাকা খরচে চারা লাগানো সম্ভব হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে ধানের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে কৃষকদের। পাশাপাশি তারা মানসম্পন্ন খুচরা কৃষি যন্ত্রাংশ সুলভ মূল্যে পাওয়ারও দাবী করেন কৃষকরা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ আবু সাহিদ। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: রাশেদা ম্যানশন, ৯৮৬, মধ্যম রামপুর হালিশহর, চট্টগ্রাম | যোগাযোগ: 01869-600700, E-mail: somoyernews24office@gmail.com
Powered by somoyernews.com | Designed by F.A.CREATIVE FIRM LTD.