ফুলবাড়ীয়া ( ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : যখন সহপাঠীরা বই খাতা নিয়ে স্কুলে যায় খেলা করে আনন্দ উল্লাসে সময় কা্টাও সেই সময় বাড়ীর ভিতরে সবজি গাছের মাচালের নিচে শিকঁলে বাধাঁ ময়মনসিংহে ফুলবাড়ীয়া ও মুক্তাগাছা উপজেলা সীমান্তবর্ত্তী মহেষপুর সীমান্ত বাজারের জুলহাস মিয়ার শিশু কন্যা জেসমিন। গত ৭ বছর যাবৎ শিশুকে বেধে রাখা হয়েছে শিকঁলে। ছেড়ে দিলেই চলে যায় দূরে কোথাও অজানা পথে। তাই বাবা মার মানসিক প্রতিবন্ধী আদরের সন্তানটি যেন চোঁখে আড়াল না হয় যে জন্যই পায়ে দেওয়া হয়েছে শিকঁল। জেনমিন বা তার পরিবার কে এখন পযন্ত দেওয়া হয়নি কোন সরকারী অনুদান শিশুটির নামেও হয়নি কোন প্রতিবন্ধীরকার্ড।
সরেজমিনে গিয়ে দেখায়, বাড়ীর ভিতরে সবজি গাছের মাছালর খঁটির সাথে শিকঁলে বেধে রেখেছে ১১ বছরের কন্যা জেসমিন কে। যাকে দেখে তাকে ইশারায় কাছে ডেকে নিয়ে হাত নিয়ে দেয় পাঁয়ের শিকঁলের। ইশারায় বলে শিকঁল খোলে দিতে। না দিলে হৃদয় ভাঙ্গানো কান্নায় কেঁদে উঠে। চোঁখ দিয়ে অঝড়ে ঝড়ে পানি। বাবা জুলহাস মিয়া বলেন, এমন একটি ফুরফুরে কন্যা যে নাকি সবসময় বাড়িকে আলোকিত করে তোলে সেই মেয়েকে নিজ হাতে শিকঁলে বেঁধে রাখতে হয় এর চেয়ে বড় কষ্ট আরো আছে।
এ খবরে ময়মনসিংহ ক্রাইম রিপোটার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম স্বপন,সাংবাদিক শামীম আহমেদ নীলু, অর্থ সম্পাদক আনিসুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক আল আমিন ছুটে যান শিকঁলে বাধা জেসমিনের বাড়ী। সাংবাদিকরা জেসমিন যেন সুস্থ্য হয়ে শিকঁল মুক্ত হয়ে বাবার মায়ের কুলে ফিরে আসে এ ব্যাপারে যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ ব্যাপারে ৮ন্ং দাওগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন বাদশা বলেন আপনাদের ভিডিও ছাড়ার পর মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহি অফিসার স্যার জেসমিনের বাবা মাকে নিয়ে উপজেলা যেতে বলেছে। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। এছাড়া পরিষদ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ আবু সাহিদ। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: রাশেদা ম্যানশন, ৯৮৬, মধ্যম রামপুর হালিশহর, চট্টগ্রাম | যোগাযোগ: 01869-600700, E-mail: [email protected]
Powered by somoyernews.com | Designed by F.A.CREATIVE FIRM LTD.