প্রেস বিজ্ঞপ্তি: গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ইং তারিখ চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজরী মডেল থানাধীন নতুন পাড়া মোবারক রোডের সম্মুখে রায়হান সিএনজি পেট্রল পাম্পের সামনে বিআরটিসি বাসের টেন্ডার বিরোধের জের ধরে মোঃ দিদারের নেতৃত্বে এলাকার কতিপয় দুস্কৃতিকারী মোঃ আব্দুল হালিম রুবেলের মাথা, বুক-পিটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় রুবেলকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ২৪ ঘন্টা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ সন্ধ্যা ০৬:০০ ঘটিকার সময় মৃত্যু বরণ করে। এই ঘটনায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নিহতের মা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী মডেল থানায় ০৮ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৩০/৭৩ তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। উক্ত ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী ও ছায়াতদন্ত শুরু করে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, উক্ত মামলার এজাহারনামীয় অন্যতম প্রধান পলাতক আসামী মোঃ শাহাদৎ হোসেন@রোকন ঢাকা মহানগরীর ডেমরা থানাধীন ডগাইর এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৮ মার্চ ২০২২ইং তারিখ ০৭৪৫ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ রোকন(৩০), পিতা- মৃত মোঃ সফি, সাং-চিকনদন্ডী, থানা-হাটহাজারী, জেলা- চট্টগ্রামকে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামী অকপটে স্বীকার করে যে, সে মোঃ আব্দুল হালিম রুবেল হত্যার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলো।
ঘটনার প্রতিপৃষ্ঠে জানা যায় যে, নিহত ভিকটিম রুবেল বিআরটিসি বাস ডিপো হতে গাড়ি লীজ নিয়ে ব্যবসা করত এবং আসামীগণও বিআরটিসি বাস ডিপো এর গাড়ি লীজের ব্যবসায়ী। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ইং তারিখে নিহত ভিকটিম রুবেলের সঙ্গে বিআরটিসি বাসের টেন্ডার নিয়ে মোঃ দিদারের কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে ওইদিন রাত ১১টার দিকে দিদার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে রুবেলকে নতুনপাড়া মোবারক সড়কে আসতে বলে। দিদারের কথা মতো রুবেল সেখানে পৌছালে দিদার, মাসুদ, রোকন এবং তাদের আরোও ০৫ জন সহযোগী মিলে রুবেলকে দেশীয় ধাড়ালো অস্ত্র (কুড়াল, চাপাতি এবং চাকু) দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। মূলত আসামীরা পরিকল্পিত ভাবেই এই হত্যাকান্ড সংঘটিত করেছে বলে প্রতীয়মান হয়।
উক্ত হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হওয়ার পরপরই আসামী মোঃ শাহাদাত হোসেন@রোকন প্রথমে রাজধানী ঢাকায় গিয়ে আত্মীয়ের বাসায় উঠে, অতঃপর পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ নেয় এবং পরবর্তীতে সেখানে নিরাপদ মনে না করায় সর্বশেষ ডেমরায় একটি বেকারিতে চাকরী নেয়। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।