প্রেস বিজ্ঞপ্তি : মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট মোস্তফা কামাল পাশা আর নেই। শুক্রবার সকাল দশটায় চট্টগ্রাম নগরীর মেডিকেল সেন্টারে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাহে রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন পুত্র ও এক মেয়ে রেখে যান। তিনি ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
১৯৫২ সালে হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম ধলই মীর বাড়িতে জন্ম নেন মোস্তফা কামাল পাশা। তাঁর পিতার নাম মীর আবদুল ওয়ারেস। তিনি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান ও
মুক্তিযুদ্ধের একজন সক্রিয় সংগঠক ছিলেন। ১৯৮২ সালের ফেব্রæয়ারিতে মোস্তফা কামাল পাশা সাংবাদিকতা শুরু করেন দৈনিক আজাদীর মধ্য দিয়ে। তিনি বার্তাসংস্থা ইপিবি ও শিশুতোষ পত্রিকা গাঙচিলের সম্পাদক ছিলেন। তিনি দেশের বিভিন্ন জাতীয়, স্থানীয় দৈনিক ও অনলাইনে কলাম লিখে পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেন। প্রথাবিরোধী লেখক হিসেবে তাঁর পরিচিতি রয়েছে। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য-আল্লাহর ঘরে আগন্তুক, গল্পগ্রন্থ- ঠিকানা লাশকাটা ঘর (বড়দের), ভয় নেই আমরা আছি (ছোটদের)। প্রকাশিত উপন্যাস- নীল বিষের ছোঁয়া, চন্দ্রিমা, উড়ুক্কু পোকামাকড়।
সাংবাদিক - কলামিস্ট মোস্তফা কামাল পাশা রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন। ১৯৮২-৯২ পর্যন্ত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। ছাত্রজীবনে ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা। এদিকে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট মোস্তফা কামাল পাশার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। শুক্রবার বাদ জুমা নগরীর কাজীর দেউরি কাঁচাবাজার মসজিদ সংলগ্ন চত্ত¡রে তাঁর প্রথম জানাজা, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে দ্বিতীয় জানাজা এবং বাদর আছর তৃতীয় জানাজা শেষে হাটহাজারীর পশ্চিম ধলই মীর বাড়িস্থ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ আবু সাহিদ। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: রাশেদা ম্যানশন, ৯৮৬, মধ্যম রামপুর হালিশহর, চট্টগ্রাম | যোগাযোগ: 01869-600700, E-mail: [email protected]
Powered by somoyernews.com | Designed by F.A.CREATIVE FIRM LTD.