সালিশ করার প্রশ্নই ওঠে না : চুন্টা ইউপি চেয়ারম্যান 

মো. তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : সরাইল উপজেলা  চুন্টা ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির চার লাখ টাকায় রফাদফা করে সালিশী বৈঠক করেছেন এমন করে পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।  যা দেখে চুন্টা ইউপি চেয়ারম্যান  ও চুন্টা ইউনিয়র যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক মো. হুমায়ুন কবির  দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,  কিছু দিন আগে আমার পরিচিত  বড় ভাই আমার কথা গুলো কার সিট করে  আমার ইউনিয়নের নসিনপুর এলাকার একটি ঘটনার  সালিশ  বৈঠক করেছি বলে আমার বক্তব্য প্রকাশ করেছে যা আজও সত্য না। এই ধরনের বৈঠক আমরা করতে পারি না। টাকা রফাদফা করবো দুরের কথা, এমন সালিশ করার প্রশ্নই উঠে না। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে চেয়ারম্যান বলেন, ভাই আমরা অনেক সময় অনেক কথা বলি কিন্তু অনেক  রেখে  ছাপানো হয়। আপনাদের  কি আমরা কিছু বলতে পারি। ভাই আপনারা আসছেন ভালো হয়েছে আপনারা খবর নেন দেখেন এই ধরনের কোনো সালিশ বৈঠক আমি করেছি কিনা। আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে আমার পিছনে কিছু লোক লেগেছে।
আমি চুন্টা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক এই এলাকায় জামাত-বিএনপি’র কিছু লোক আমার পিছনে ষড়যন্ত্র করছে। তবে ষড়যন্ত্রকারীরা কোনদিনই ষড়যন্ত্র সফল হয় না। আমি আপনাদের মাধ্যমে বলতেই  আমাকে নিয়ে যে মিথ্যাচার  শুরু করেছে আমি তার তীব্র নিন্দা জানাই। আজ বুধবার ( ২৭ এপ্রিল ) দুপুরে  চুন্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  মো. হুমায়ুন কবির তার নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের একথা গুলো এমন করে বললেন,  এই সময়  ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত ছিলেন, চুন্টা ইউনিয়ন পরিষদের২ নং ওয়ার্ড  মেম্বার  মো. মোখলেছ মিয়া বলেন, দেখেন এ এ ধরনের ঘটনার কোনো সালিশী বৈঠক আমরা করতে পারি না। নসিনপুর আমার২ নং ওয়ার্ড  এখানে এধরনের সালিশ হলে আমি অবশ্যই জানতাম। তবে আমি যতটুকু জানি চেয়ারম্যান এ ধরনের সালিশ করেন নাই বা কোনো বৈঠক হয়নি।
চুন্টা ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান  মো. জিয়াউর রহমান বলেন. আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে বিগত দিনে  কোন প্রকার নারির ঘটনা নিয়ে বা কোন কিছু নিয়ে এধরনের কোন সালিশ বৈঠক হয়নি এবং চেয়ারম্যান এই ব্যাপারে কোন বৈঠকে যোগ দেন বলে আমাদের জানা নেই। তবে যারা এই মিথ্যা বৈঠকের পিছনে  কলকাঠি পরিচালনা করছে  আমরা তাদেরকে নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই। আমরা চাই আপনার খোঁজ নিয়ে দেখেন এধরণের কোন ঘটনা ঘটছে কিনা বা এধরনের কোন সালিশ হয়েছে কিনা।
চুন্টা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ আলী বলেন, এবার আমরা যারা নতুন সদস্য এসেছি, আমাদের মত চেয়ারম্যান ও নতুন। আমরা নতুনরা ইউনিয়ন পরিষদ কে সুন্দর ভাবে চালাতে চাই। আমাদের পিছনে কিছু লোক লেগেছে। তারা বিভিন্ন সময় মিথ্যা বানোয়াট কথা চড়িয়ে বেড়ায়।এই ধরনের বৈঠক হলে আমরা অবশ্যই জানতাম চেয়ারম্যান আমাদের সাথে পরামর্শ করে সবকিছু করে। এ ধরনের কোনো বৈঠক ইউনিয়ন পরিষদে হয় নাই বলে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন।