প্রেস বিজ্ঞপ্তি : দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (সিসিসিআই) এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)’র যৌথ উদ্যোগে “বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি সংক্রান্ত নগদ সহায়তা সংশ্লিষ্ট এফই সার্কুলারসমূহের উপর নলেজ শেয়ারিং” শীর্ষক সেমিনার ১৬ জুন সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, চট্টগ্রাম’র পরিচালক শারমিন আক্তার’র সভাপতিত্বে
সেমিনারে প্রধান অতিথি রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’র ভাইস চেয়ারম্যান এ. এইচ. এম. আহসান, বিশেষ অতিথিবৃন্দ চিটাগাং চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্যানেল আলোচকবৃন্দ চিটাগাং চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, বিকেএমইএ’র পরিচালক গাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’র পরিচালক আবু মোখলেছ আলমগীর হোসেন ও বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংক’র যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আরাফাত আলী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’র ভাইস চেয়ারম্যান এ. এইচ. এম. আহসান বলেন-সরকার রপ্তানিকারকদের ব্যয় কমানো এবং প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আর্থিক প্রণোদনা দিয়ে থাকে। এর ফলে নতুন নতুন পণ্য ও বাজার সৃষ্টি হয়। এ বছর রপ্তানিতে ৫৮ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে যা অর্জিত হলে ৩০% প্রবৃদ্ধি হবে। কোভিডের কারণে দুই বছর নি¤œমূখী থাকার
পর বর্তমানে রপ্তানি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সরকার ৪২ টি পণ্যে বিভিন্ন হারে নগদ প্রণোদনা দিয়ে থাকে। তৈরীপোশাক এর পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এ খাতে রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার। তিনি এ সেমিনারের মাধ্যমে স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় ইপিবি’র কার্যক্রমকে আরো গতিশীল ও ব্যবসাবান্ধব করতে সহায়ক হবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথি চিটাগাং চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বলেন- তৈরীপোশাকের পাশাপাশি আমাদের অন্যান্য সম্ভাবনাময় সেক্টর যেমনঃ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস, সিরামিক, বাই সাইকেল ইত্যাদি খাতে রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রতিনিয়তঃ উন্নতি হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারি প্রণোদনার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তবে সব সেক্টরকে যদি সমানভাবে অর্থাৎ ২০% প্রণোদনা দেয়া যায় তাহলে রপ্তানি খাতে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে। প্রণোদনার উপর থেকে কর আদায় প্রত্যাহার করা উচিত। প্রচলিত সেক্টরের বাইরেও সমীক্ষার
মাধ্যমে সম্ভাবনা যাচাইপূর্বক আরো নতুন নতুন সেক্টরকে নগদ প্রণোদনা এর আওতায় অন্তর্ভূক্ত করা যেতে পারে এবং নগদ প্রণোদনা পাওয়ার প্রক্রিয়া আরো সহজ করা প্রয়োজন। তিনি ২০২৬ সালের পরে ডবিøউটিও রুলস অনুযায়ী ইনসেনটিভ দেয়া যাবে না বিধায় ভিন্ন নামে এ সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার আহবান জানান।
বিশেষ অতিথি বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন- বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। তাই পোশাক খাত ছাড়াও অল্প পুঁজি এবং ছোট ছোট উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে হবে। তিনি নতুন বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে নগদ প্রণোদনার পাশাপাশি প্রতিবন্ধকতা দূর করে সহজীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ইপিবিকে বিশ্বের চাহিদাগুলোকে চিহ্নিতপূর্বক নীতি সহায়তা এবং
বিশাল জনগোষ্ঠিকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার কথাও বলেন। বিশেষ অতিথি বিকেএমইএ’র পরিচালক গাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ নগদ সহায়তা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেসব প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য সমস্যা চিহ্নিত এবং সমাধান করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন। প্যানেল আলোচক চিটাগাং চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ বলেন-সরকার বেসরকারি খাতের উন্নয়নে অনেক ধরণের সহযোগিতা দিচ্ছে যা আরো বেশী বেশী করে প্রচার করতে হবে যাতে উদ্যোক্তারা এ সম্পর্কে জানতে পারে এবং নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হতে পারে। নগদ প্রণোদনা প্রদানের প্রক্রিয়াটি অটোমেশনে
রূপান্তরের বিবেচনা করা যেতে পারে। তিনি এক্সপোর্ট ইমপোর্ট সংক্রান্ত তথ্যের জন্য একটি পৃথক ওয়েবপোর্টাল চালু করার দাবী জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ আবু সাহিদ। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: রাশেদা ম্যানশন, ৯৮৬, মধ্যম রামপুর হালিশহর, চট্টগ্রাম | যোগাযোগ: 01869-600700, E-mail: [email protected]
Powered by somoyernews.com | Designed by F.A.CREATIVE FIRM LTD.