প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ অপহৃত ভিকটিম ১৪ বছর বয়সই ও ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া একজন ছাত্রী। ভিকটিমের বাবা একজন সরকারী চাকুরীজীবি এবং সে বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরে কর্মরত আছেন। ভিকটিমের স্থায়ী ঠিকানা ময়মনসিংহ জেলায় হলেও তার বাবা সরকারী চাকুরীজীবি ও বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরে কর্মরত থাকার কারণে শহরের একটি ভাড়া বাসাতে স্ব-পরিবারে বসবাসরত আছেন। অপহৃত ভিকটিম এই ভাড়াটিয়া বাসা থেকেই প্রতিদিন স্কুলে যাতাওয়াত করত। স্কুলে যাতাওয়াতের পথিমধ্যে জনৈক মোঃ ফরহাদ মিয়া নামের এক যুবক তাকে প্রায়ই উতক্ত করত। বিষয়টি ভিকটিম তার বাবাকে অবহিত করলে ভিকটিমের বাবা উল্লেখিত যুবক মোঃ ফরহাদ মিয়া’কে চিনতে পারে ও সম্পর্কে তার ভাগিনা হয় এবং সে একজন ট্রাক চালক বলে জানে। মোঃ ফরহাদ মিয়া ট্রাক চালক হওয়ায় বিভিন্ন সময় ভাড়া নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে আসতো এবং সুযোগমত ভিকটিমকে স্কুলে যাতাওয়াতের পথিমধ্যে বিভিন্ন রকম কথাবার্তা ও প্রেমের প্রস্তাব দিত। এছাড়াও ভিকটিম যদি তার প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হয় তাহলে তাকে জোর পূর্বক তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল। বিষয়টি ভিকটিমের বাবা মোঃ ফরহাদ মিয়ার পরিবারকে জানালে ফরহাদের পরিবার থেকেও জোরপূর্বক তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেয়।
পরবর্তীতে গত ৩১ মার্চ ২০২২ খ্রিঃ তারিখ ভিকটিম স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বাহির হলে আর ফিরে আসেনি। মেয়ে স্কুল থেকে সময়মত বাড়ি ফিরে না আসায় ভিকিটমের মা-বাবা অনেক খোঁজাখুজি করে কোথাও না পেয়ে তাৎক্ষণিক ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানায় মোঃ ফরহাদ মিয়াসহ ০৪ জন নামীয় এবং অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন, যার নং-১৩৫৩ তারিখ ৩১ মার্চ ২০২২ খ্রিঃ।
ভিকটিমের বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলাটি রুজু হওয়ার পর থেকে অপহৃত ভিকটিম’কে উদ্ধার ও ঘটনার সাথে জড়িত অপহরণকারীকে গ্রেফতারের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, মামলার ১নং আসামী মোঃ ফরহাদ মিয়া তার অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় গত ৩১ মার্চ ২০২২ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক সকাল ০৮:১৫ ঘটিকায় ভিকটিম স্কুলে যাওয়ার সময় অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং বর্তমানে তারা নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানাধীন ডরগাও এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৭ জুন তারিখ ১৩:১০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ ফরহাদ মিয়া (১৯), পিতা- মফিজুল হক, সাং- ময়রা কালু সরকারের বাড়ী, থানা- পাগলা, জেলা- ময়মনসিংহকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামী উল্লেখিত অপহরণের কথা নিজ স্বীকার করে এবং তার হেফাজত থেকে ভিকটিমের বাবার সনাক্ত মতে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধারসহ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত ভিকটিম সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।