হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ হালদা নদী দক্ষিণ এশিয়া/ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র। যার অর্থ হলো এশিয়া বা দক্ষিণ এশিয়ার অন্য কোনো নদীতে মাছ/ মেজর কার্পজাতীয় মাছের প্রজনন হয়না। সম্পুর্ণ ভুল একটি তথ্য যার বৈজ্ঞানিক কোনো প্রমাণ নেই বললেন পিএইচডি ডিগ্রিধারী হালদা গবেষক ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আমার প্রশ্ন হলো এই গবেষণাটি কে এবং কখন করেছে? সুতরাং এটি কারো মনগড়া কথা ছাড়া আর কিছুনা। ভুল তথ্য পরবর্তী প্রজন্ম তথা একটা জাতির জন্য বিরাট অভিশাপ। চলুন এই অভিশাপ থেকে নিজেদের মুক্তি দিই।

প্রমাণ দেখুনঃ বাংলাদেশের মেজর কার্পের চারটা স্টক আছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা স্টক, পদ্মা উজান স্টক, মেঘনা উজান স্টক ও হালদা স্টক। এছাড়া ও সম্প্রতি ২০১৫ সালে সিলেটের সুরমা নদীর হেতিমগঞ্জ পয়েন্ট এবং কুশিয়ারা নদীর ভাদেশ্বর পয়েন্ট থেকে মাছের রেণু সংগ্রহ করা হয় যার মধ্যে ৩৫% কালিবাউস, ৩০% রুই, ও ২৫% মৃগেল মাছের রেণু পাওয়া যায়। এছাড়া ও সম্প্রতি (২০১১) শ্রীলংকার উদাওয়ালাউই রিজার্ভিয়ার থেকে রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের ডিম সংগ্রহ করা হয়। এছাড়াও ভারতে (গঙ্গা, যমুনা, বেতওয়া, গোমতি, রামাগঙ্গা, রাপতি, গহাগড়া নদী,বম্মপুত নদীর- দারাঙ্গ, খানামুখ, বামানদি নদী, নারমাদা নদী সিস্টেম, টাপতি, মাহানাদী, ব্রামানি, দায়া, সুবারনরেখা নদী, গোদাভারী, কৃষ্ণ, কুওভেরী নদী থেকেও কার্পজাতীয় মাছের স্পন সংগ্রহ করা হয়।

পাকিস্তান (ইন্দুস) ও মায়ানমারের (পেগু, ইরাবতি, মাইন্টজি, পানলিক্স ও সিতাং নদী) অনেক নদীতে মেজর কার্পের প্রজনন হয়। অন্য নদীর সাথে হালদার পার্থক্য হলো অন্য নদী থেকে মাছের নিষিক্ত বা অনিষিক্ত ডিম্বাণু সংগ্রহ করা হয়না। কিন্ত হালদা নদী থেকে প্রতিবছর মেজর কার্পজাতীয় মাছের ডিম বা ডিম্বাণু সংগ্রহ করা হয়। তাই হালদা নদীকে দক্ষিণ এশিয়ার বা এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র বলা যাবেনা।