
বাদল রায় স্বাধীন ,সন্দ্বীপ প্রতিনিধি : সন্দ্বীপ পৌরসভায় জাতীয় পরিচয় পত্রের ছবি তুলতে গিয়ে জনগনের চরম ভোগান্তির অভিযোগ উঠেছে। সকাল ৭ টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে রাত বারোটা পর্যন্ত নারী পুরুষরা অসুস্থ ক্ষুধার জ্বালা, গরমে অতিষ্ঠ হয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়া সহ নানান ধরনের অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। কেউ ফ্লোরে শুয়ে ও বসে যাচ্ছে বাধ্য হয়ে।মনে হয় রোহিঙ্গা বা শরনার্থীরা বসে আছে। এ ভোগান্তির পেছনে নির্বাচন অফিসের উদাসীনতা ও অপর্যাপ্ত ছবি তোলার ডিভাইস, কম জনবল ও তাদের রুঢ় ব্যবহারকে দায়ী করছে আগত জনগন। অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন ইউনিয়নে ছবি তুলতে ৫ টি ডিভাইস ব্যবহার করলেও এখানে ৩ টি ব্যবহার করা হচ্ছে। তার মধ্যে আবার একটি নষ্ট। তাই পৌরসভার মেয়র,কাউন্সিলররা নির্বাচন কর্মকর্তাকে ফোনে অবহিত করলে তিনি আগামীকাল থেকে ৫ টি ডিভাইস পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন
। অন্যদিকে দায়িত্ব প্রাপ্ত নির্বাচন অফিসের প্রতিনিধি কেউ কাজ ছেড়ে ঘুমিয়ে পড়া বা চা নাস্তা খেতে গিয়ে ইচ্ছে করে সময় অপচয় করছে। আবার কাউকে পরে নির্বাচন অফিসে গিয়ে বা ঈদের পরে ছবি তুলতে পরামর্শ দিচ্ছে। যা পরবর্তীতে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকায় কন্ট্রাক্ট করার পায়তারা বলে মনে করছে জন সাধারন। এ ব্যাপারে কাউন্সিলর পারভেজ আলম সহ অনেকে অভিযোগ করেন নির্বাচন অফিসের প্রতিনিধিরা মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার করছে। তাদের কাছে জনগনকে রোহিঙ্গা বা শরনার্থীর মতো প্রতীয়মান হচ্ছে যেন। তাই তারা সন্দ্বীপ সন্তান সিইসির হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। নতুবা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করার মতো উদ্যোগ নেবেন বলেও জানিয়েছেন।