বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা হতে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রস্তুতি কালে ফরহাদ হোসেন সহ গ্রেফতার ০৫

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিশেষ সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় দৃষ্কৃতিকারী কিশোর গ্যাং সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন আমিন কলোনির গলির পাঁকা রাস্তার পাশে নিভৃত স্থানে সমবেত হয়েছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ১৩ জুন ২০২৩ ইংতারিখ বর্নিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত ”কালা বাচ্চু” নামক কিশোর গ্যাং গ্রূপের প্রধান ১। মোঃ ফরহাদ হোসেন (২৩), পিতা- বাহার মিয়া, ২। মোঃ হৃদয় মিয়া (২৪), পিতা- মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ৩। মোঃ জুনায়েদ (১৯), পিতা- মোঃ মকবুল হোসেন, ৪। মোঃ আনোয়ার হোসেন বাছা (২৫), পিতা- মোঃ আমির হোসেন, ৫। মোঃ ইসমাইল হোসেন(১৫), পিতা- মোঃ ইব্রাহিম (বাবুর্চি), এবং ৬। মোঃ নুরনবী নাঈম (১৬), পিতা- মোঃ গোলাপদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়।পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের উপরোক্ত নাম প্রকাশ করে এবং অকপটে স্বীকার করে যে, তারা বর্ণিত স্থানে সন্ত্রাসী ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডের নিমিত্তে একত্রিত হয়েছিল। এছাড়াও আকটকৃত আসামীদের দেহ তল্লাশী করে তাদের নিকট হতে ধারালো ০২টি স্টীলের চাকু, ০১টি ধাড়ালো খুর এবং ০১টি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

”কালা বাচ্চু” কিশোর গ্যাং নামক এই গ্রæপটি সাধারণত চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ থানা এলাকায় স্থানীয়ভাবে রাস্তায় সংঘবদ্ধ হয়ে মারামারি, ছিনতাই, চাঁদাবাজী ও এলাকায় প্রভাব বিস্তার করাসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। এছাড়াও এই গ্যাং এর সদস্যরা প্রকাশ্যে দিনে-দুপুরে
স্থানীয় এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজী, নিজেদের মধ্যে মারামারি, অন্য সাধারণ কিশোরদের মারধর ও প্রাণনাশের হুমকী প্রদান, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন এবং মাদক সেবন করে বলে জানা যায়। আরো জানা যাায়, আসামীরা পরস্পর একে অন্যের সহিত যোগাযোগক্রমে ডাকাতির উদ্দেশ্যে সমবেত হয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকাসহ চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ ডাকাতি ও ছিনতাই করে আসছে। তারা সাধারণ মানুষসহ প্রাত্যহিক চলাচলরত বিভিন্ন শেণীপেশার মানুষদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভীতি প্রদর্শন এর মাধ্যমে মূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে বর্ণিত স্থানে সমবেত হয়েছিল বলে অকপটে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা রয়েছে।