পরকীয়া সম্পর্কের কারণে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

উখিয়া প্রতিনিধিঃ পরকীয়া সম্পর্কের কারণে পারস্পরিক অবিশ্বাস, স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া অতঃপর স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, পরে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিয়ে ৯৯৯ এ ফোন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না স্বামীর। উখিয়া থানা পুলিশ কর্তৃক সত্য উদঘাটন, ঘাতক স্বামী বিল্লাল হোসেন (২৪) গ্রেফতার। জামালপুরের ঘোড়ধাপ গ্রামের আলাল উদ্দিনের মেয়ে ফাতেমা খাতুন (২৩) এবং টাংগাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার জোড়দিঘী গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন (২৪)। দুজনে ভালোবেসে বিয়ে করে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে। দুজনেই পেশায় নার্স এবং এমএসএফ হাসপাতাল উখিয়ায় চাকরি করেন। উখিয়া থানাধীন জামতলী এলাকায় ভাড়া বাসায় তারা বসবাস করে আসছিলেন। একসময় কর্মস্থলে পরকীয়া সম্পর্কের কারণে পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাস শুরু করে। এই অবিশ্বাসের কারণে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। গত ০২/০৩/২০২২ ইং তারিখ রাত অনুমান ১২.১০ ঘটিকা হতে রাত ০২.২০ ঘটিকার মধ্যে স্বামী বিল্লাল হোসেন ও স্ত্রী ফাতেমা খাতুনে মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে স্বামী বিল্লাল হোসেন তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুনকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ বাথরুমে রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। নিজেকে বাচাতে বিল্লাল হোসেন জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে উখিয়া থানায় ফোন দিয়ে জানায় তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন আত্মহত্যা করেছে। সংবাদ পেয়ে অফিসার ইনচার্জ, উখিয়া থানা, জনাব আহাম্মদ সনজুর মোরশেদ এবং এস আই মহসিন চৌধুরী ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পুরো বিষয় প্রত্যক্ষ করে ঘটনাটি আত্মহত্যা নয় বরং হত্যাকাণ্ড মর্মে সন্দেহ করে ভিকটিমের স্বামীকে হেফাজতে নেয়। স্বামী বিল্লাল হোসেনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেন তাঁর স্ত্রীকে তিনি নিজেই শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাথরুমে ঝুলিয়ে রেখেছেন। ভিকটিম ফাতেমার পিতা-মাতাকে সংবাদ দেয়া হলে তারা জামালপুর থেকে উখিয়া থানায় উপস্থিত হন এবং বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ঘাতক স্বামী বিল্লাল হোসেন অদ্য ০৩/০৩/২০২২ ইং তারিখ বিজ্ঞ আদালতে স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেছেন।