
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ (২৩-২৯ এপ্রিল)-২০২২ উপলক্ষে কর্মসূচীর দ্বিতীয় দিন আজ ২৪ এপ্রিল রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মিলনায়তনে পুষ্টি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে “সঠিক পুষ্টিতে সুস্থ জীবন”। চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ও চমেক হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয়ের যৌথ বাস্তবায়নে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান সেমিনারের আয়োজন করেন। চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. অং সুই প্রæ মার্মার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান
শাহরিয়ার কবীর, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সাহেনা আক্তার। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মূল
প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. মোঃ সাখাওয়াত উল্ল্যাহ। সেমিনাওে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. সুমন বড়–য়া, চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. রাজীব পালিত ও ইউনিসেফ’র নিউট্রিশন অফিসার ডা. উবাসুই। চমেক হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা সেমিনারে অংশ নেন। পুষ্টি বিষয়ক সেমিনারে বক্তারা বলেন, সুস্থ সবল জাতি গঠনে পুষ্টিকর খাবারের কোন বিকল্প নেই।
অপুষ্টি একটি জাতীয় সমস্যা। তা সমাধানের পথ খুঁেজ বের করা সকলের দায়িত্ব। সঠিক সুস্থ জীবন, খাদ্যের কথা ভাবলে পুষ্টির কথাও ভাবতে হবে। কিশোর-কিশোরী ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার অত্যন্ত প্রয়োজন। নতুবা জন্মের পর শিশু অপুষ্টিতে ভূগে বিকলাঙ্গসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। জন্মের সাথে সাথে শিশুকে প্রথম মায়ের বুকের শাল দুধ দিতে হবে। প্রথম ৬ মাস মায়ের দুধ ছাড়া শিশুর মুখে মধু, মিষ্টি ও চিনিসহ অন্য কোন বিকল্প খাবার দেয়া যাবেনা। এর পর ২ বছর পর্যন্ত মায়ের দুধের পাশাপাশি নিরাপদ, সুষম ও ঘরে রান্নাকরা পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। তাহলে শিশু ভবিষ্যতে সুস্থ ও মেধাবী হবে।
বক্তারা আরও বলেন, আগামী ২০৩০ সালে এসডিজি অর্জন ও ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে শিশু ও কিশোর- কিশোরীদেরকে পুষ্টিসমৃদ্ধ জাতি গঠন অত্যন্ত জরুরী। এ লক্ষে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সারাদেশে পুষ্টিসেবা কার্যক্রম সফল করতে একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার পাশাপাশি সর্বত্র ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে হবে। বক্তারা বলেন, অসচেতনতার কারণে অনেকে অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতায় ভূগছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে পুষ্টি কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পুষ্টির ক্ষেত্রে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনা
হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের অনুমোদিত স্কুল, মাদ্রাসা ও এতিমখানাগুলোতে পুষ্টি কার্যক্রম বেগবান
করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সকলের আন্তরিকতা ও সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে সারাদেশে পুষ্টিসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব।