সন্দ্বীপ পৌরসভায় ৪কোটি ৬০লক্ষ টাকা ব্যয়ে ব্রাক্ষ্রন সাঁকোর ব্রীজ নির্মান কাজের উদ্বোধন

বাদল রায় স্বাধীন: সন্দ্বীপ পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ডের ব্রাক্ষ্রন ব্রীজটি ভেঙ্গে দীর্ঘ ১ যুগ আগে বাঁশের সাঁকোতে পরিনত হয়েছে। যার কারনে সন্দ্বীপের পশ্চিম অংশে সমুদ্রগামী জেলে সম্প্রদায়, নতুন চরে গবাদী পশু পালনকারী এবং প্রায় ৩ শতাধীক পরিবারের ভোগান্তি দিন দিন বেড়েই চলছিলো। বন্ধ হয়ে যায় তালুকদার মার্কেট নামে একটি জমজমাট বাজার ।কালাপানিয়া ও হরিশপুর ইউনিয়নের হাজারো পরিবার সন্দ্বীপ শহরে যাওয়ার গতিপথ পরিবর্তন করে প্রায় ৫ কিঃ মিঃ অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিতে হচ্ছিলো। বেড়ে গিয়েছিলো যাতায়াত খরচ,নষ্ট হচ্ছিলো অতিরিক্ত সময় ।আর পৌরসভার উন্নয়নকে ম্লান করে দিচ্ছিলো এটি সহ আরো তিনটি সাঁকো।যা বর্তমান আধুনিক যুগে অকল্পনীয়। আজ ১ যুগ পর সে সীমাহীন ও ভোগান্তির পরিসমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে শেখ হাসিনা সরকারের স্বদ্বিচ্ছা ও সন্দ্বীপের এমপি মাহফুজুর রহমান মিতার আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিমের বিভিন্ন দপ্তরে দৌঁড় ঝাঁপের ফসল হিসাবে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের অর্থায়নে ও এলজিইডির তত্বাবধানে প্রায় ৪ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে সেখানে একটি উন্নত মানের ব্রীজ।

উক্ত ব্রীজ নির্মান কাজের উদ্বোধন করেন মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিম। ৭ আগষ্ট এ ব্রীজ নির্মান কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সময় মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিম সহ ওয়াল্ড ব্যাংকের ব্রীজ মেন্টেইনেন্স ইন্জিনিয়ার ও কনসালটেন্ট কখরা খই,এক্সিকিউটিব ইন্জিনিয়ার মোঃ সাহাবুদ্দিন,সন্দ্বীপ উপজেলা এলজিইডি ইন্জিনিয়ার ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মডেল এন্টার প্রাইজ এর সত্বাধীকারী মোঃ আলাউদ্দিন সওদাগর ও কাউন্সিলর আলা উদ্দীন বাবলু উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় ওয়াল্ড ব্যাংকের ব্রীজ মেন্টেইনেন্স ইন্জিনিয়ার ও কনসালটেন্ট কখরা খই এক স্বাক্ষাৎকারে জানান ৫০ মিটার বা ১৬৪ ফুট দৈর্ঘ এবং ২৪ ফুট প্রস্থের এ ব্রীজটির মুল বাজেট ৫ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা নির্ধারন করা হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ১৫% লেস দিয়ে ৪ কোটি ৬০ লক্ষ টাকায় নির্মানের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এবং কাজটি শেষ হতে প্রায় ১ বছর সময় অতিবাহিত হবে। তার জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা প্রার্থনা করেন।

মেয়র সেলিম বলেন প্রধানমন্ত্রীর গ্রামকে শহর করার স্বপ্ন এবং এমপি মিতার অকাল্ত পরিশ্রমের ফসল এই ব্রীজ নির্মান হলে মানুষ অনেক উপকৃত হবে।বিশেষ করে পশ্চিমে ইকোনমিক জোন তৈরি ও কৃষি, মৎস্য এবং গবাদি পশু পালনকারীদের বিশাল কাজের ক্ষেত্র তৈরি সহ পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে। আর এটি বর্তমানে ব্রাক্ষ্রন ব্রীজ নামে পরিচিত হলেও এটির নতুন নামকরন করা হবে মরহুম মাহবুবুর রহমান মাধু চেয়ারম্যান সেতু। তিনি ব্রীজ নির্মানে সহযোগিতার জন্য এমপি মিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এবং কাজের গুনগত মানের ব্যাপারে কোন ছাড় নেই বলেও মন্তব্য করেন।