বায়েজিদ লিংক রোড অবরোধ করে জঙ্গল সলিমপুরের বাসিন্দাদের বিক্ষোভ

চট্টগ্রাম : ১৭ দিন ধরে বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না অভিযোগ করে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোড কেটে অবরোধ করে রেখেছে ভূমিদস্যু ও দখলদারদের সাম্রাজ্য হিসেবে পরিচিত জঙ্গল সলিমপুরের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকাল ১১টার পর থেকে বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোডের সীতাকুণ্ড অংশে সড়ক কেটে অবস্থান নেয় কয়েক হাজার নারী-পুরুষ। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা সড়কে অবস্থান করছেন।

সড়ক অবরোধকারী করা জঙ্গল সলিমপুরের বাসিন্দাদের দাবি, ১৭ দিন ধরে বিদ্যুৎ না পাওয়ায় খাবার পানি সংকটে ভুগছেন তারা। এ কারণে রাস্তা অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছেন তারা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সদস্যরাও ঘটনাস্থলের পাশে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন। এ বিষয়ে জানার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের ফোন করা হলেও কেউ রিসিভ করেননি।

এর আগে সরকারের নেয়া গৃহীত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান নেতৃত্বে প্রশাসনের কর্মকর্তারা সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর পরিদর্শন করেন। তিনি বায়েজিদ লিংক রোড হতে জঙ্গল সলিমপুর প্রবেশের সকল প্রবেশ মুখ ঘুরে দেখেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম প্রমুখ।

প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানান, জঙ্গল সলিমপুর ও জালালাবাদ এলাকার সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার স্বার্থে বায়েজিদ লিংক রোডের দুপাশে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য জায়গা চূড়ান্ত করা হয়। বায়েজিদ লিংক রোড সংলগ্ন জঙ্গল সলিমপুর প্রবেশের দুপাশে দুটি নিরাপত্তা চৌকি স্থাপনের জায়গা সীমানা পিলার দিয়ে নির্দিষ্ট করা হয়। এছাড়া লিংক রোড সংলগ্ন কর্ণফুলী গ্যাস পাইপ লাইনের উপর নির্মিত সকল অবৈধ স্থাপনা আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার জন্য মাইকিং করা হয়।

পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকার জঙ্গল সলিমপুরে বসতি স্থাপনকারী ১৫ হাজার পরিবারকে পুনর্বাসন এবং সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এখানে আর কোনো ভূমিদস্যু, কোনো সন্ত্রাসীর জায়গা হবে না। জনগণের অসুবিধা হয় এমন কিছু করা হবে না। মনে রাখতে হবে দেশটা আমাদের। তাই আইন মানতে হবে। কারও যাতে অসুবিধা না হয় সেভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।