
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: গত ১১ এপ্রিল ২০০৯ ইং তারিখ পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ১। মোঃ আরমান (৩৫), ২। ইরান (৩৩) এবং ৩। ইমতিয়াজ (৩২) সর্ব পিতা- মৃত আবুল বশর, সাং- ০২নং মাইলের মাথা, থানা- ইপিজেড, জেলা- চট্টগ্রাম মহানগরী ভিকটিম এরশাদ (২২) তার কর্মস্থল হতে ফেরার পথে ২নং মাইলের মাথা জনৈক মহিউদ্দিনের গ্যারেজের সামনে আসা মাত্র এরশাদকে ঝাপটাইয়া ধরে ধারালো ছোরা দিয়া মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন গুরুতর আহত এরশাদকে উদ্ধার করে মুমুর্ষ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে গত ১২ এপ্রিল ২০০৯ ইং তারিখ ১২৩০ ঘটিকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় এরশাদ মৃত্যু বরন করেন। উক্ত ঘটনায় গত ১২ এপ্রিল ২০০৯ ইং তারিখ চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলার দায়ের হয়। যার মামলা নং-০৮, তারিখ- ১২ এপ্রিল ২০০৯, ধারা- ৩০২/৩৪, পেনাল কোড- ১৮৬০। উক্ত হত্যা মামলায় আসামী ইরান সহ অন্যান্যরা বিভিন্ন মেয়াদে জেল খেটে পরবর্তীতে জামিনে বের হয়ে আসে। আসামী আরমান প্রায় ০১(এক) বছর জেল খেটে জামিনে বের হয়ে আসে। জামিনে বের হয়ে আসার পর সকল আসামীরা এরশাদ হত্যা মামলার সাক্ষ্য প্রদান না করার জন্য সাক্ষীদের হুমকি দিয়ে আসছিল। ঐ মামলার ঘটনার বিষয়ে কবির আহম্মেদ (৬৫) ও তার ছেলে ওমর ফারুক (৩১) বিজ্ঞ আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করে। ঐ মামলায় সাক্ষ্য প্রদান করায় বিবদীগন তাদের জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আসামীরা গত ০১ জানুয়ারি ২০২২ ইং তারিখ সকাল ০৮:০০ ঘটিকায় পূর্বপরিকল্পিত ভাবে বাদীর বাড়ীর উঠানে এসে লোহার শাবল, বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতারী আঘাত করে লায়লা বেগম ও বাদীর ছেলেকে গুরুতর জখম করে। তখন আসামীরা প্রকাশ্যে বলে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিলে সবার একই অবস্থা হবে। মুমুর্ষ অবস্থায় লায়লাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ০৩০০ ঘটিকায় মৃত্যু বরন করে। ঘটনার পর থেকে আসামী ইরান পলাতক ছিল। র্যাব-৭ এর একটি চৌকস দল প্রযুক্তি ব্যবহার করতঃ নিরলস পরিশ্রম করে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান পরিচালনা করে গত ১১ জানুয়ারি ২০২২ ইং তারিখ রাতে চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন ইছাখালী,ইকোনোমিক জোন,ভাবীর মোড় এলাকা হতে আসামী ইরান (৩৩) পিতা মৃত- আবুল বশর, সাং-২ নং মাইলের মাথা, মহব্বত মুন্সীর বাড়ী, থানা- ইপিজেড, চট্টগ্রাম মহানগরীকে গ্রেফতার। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত হত্যার ঘটনা অপকটে স্বীকার করে । উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন থানায় ০২ টি হত্যাসহ মোট ০৪ টি মামলা রয়েছে। ৫। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।