পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : কক্সবাজারের পেকুয়ায় মোবাইলে লুডু খেলাকে (জুয়া) কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে আবদুল মালেক (৪৭) নামের এক দিনমজুরকে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় ছুরিকাঘাত করে দুই নারীসহ আরো চারজনকে জখম করে। রোববার (২৮ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের বাজারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুল মালেক মগনামা ইউপির বাইন্যাঘোনা আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকার মৃত.ছৈয়দ আহমদের ছেলে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতে রাজাখালী এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদি হয়ে সোমবার (আজ) ৮ জনকে আসামি করে পেকুয়া থানায় একটি মামলা (১৮/২২) দায়ের করেন। পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফরহাদ আলী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,অপর আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলার এজাহারসুত্রে জানাগেছে,রোববার রাত ১০টার দিকে মোবাইলে লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে নিহত আবদুল মালেকের ছেলে মোহাম্মদ হোছাইনের সাথে বাজার পাড়ার নুরুল আমিনের ছেলে নায়েবুল ইসলাম প্রকাশ নাঈবুরের মধ্যে কথা ঝগড়া হয়।
একপর্যায়ে আবদুল মালেকের সঙ্গে নুরুল আমিনের বাগবিতন্ডা হয়। এ সময় নুরুল আমিন ছুরিকাঘাত করে আবদুল মালেককে। ওই সময় এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে আবদুল মালেকের ছেলে মো.পারভেজ (২২), মোহাম্মদ হোছাইন, প্রতিবেশি বুলবুলি আকতার (৪০) ও লাকি আক্তার (৩০) আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান আবদুল মালেক। মামলার আসামিরা হলেন,বাজারপাড়া এলাকার নুরুল আমিন,তার ছেলে নায়েবুল ইসলাম,হেনাম,রোহান,স্ত্রী ইয়াসমিন,আবদুল মাবুদের ছেলে বারেক, ইমাম হোসেন ও রিদুওয়ানের স্ত্রী রুমি আক্তার।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,নুরুল আমিন ও রুমি আক্তার। বাদি ফাতেমা আকতার বলেন,সামান্য কথা-কাটাকাটির জেরে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। আমার স্বামীর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস চৌধুরী বলেন, সামান্য কথা-কাটাকাটি নিয়ে মানুষ হত্যা করা খুবই জঘন্য অপরাধ । অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি। নিহত আব্দুল মালেকের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন তিনি।