ইভিএম মানুষকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে: বিএনপির গণ মিছিলে ডা. শাহাদাত হোসেন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) একটি নিকৃষ্ট যন্ত্র, এটা প্রতিষ্ঠিত। সর্বশেষ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, তার আগে নারায়ণগঞ্জ সিটিসহ বিভিন্ন নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে যে ইভিএম মানুষকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। ইভিএমে ধীরগতি এবং কম ভোট পড়ে। ইভিএমে অনেকে ভোট না দিতে পেরে চলে গেছেন। নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপে সকল রাজনৈতিক দল ইভিএমের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাদের মতামতকে তোয়াক্কা না করে নির্বাচন কমিশন ১৫০ আসনে ইভিএমে নির্বাচনের যে ঘোষণা দিয়েছে তা জাতির সাথে তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়। নির্বাচন কমিশন সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে লিপ্ত রয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএমে ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে যে মামলা করেছি এখনও পর্যন্ত তার কোন সুরাহা করেনি। অবিলম্বে এই মামলার রায় ঘোষণা করতে হবে। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে বাংলাদেশে আর কোন নির্বাচন হবে না।

তিনি সোমবার (২৯ আগষ্ট) বিকালে নগরীর আগ্রাবাদ চৌমুহনী মোড়ে ডবলমুরিং থানা বিএনপির উদ্যোগে জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত গণ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। নগরীর আগ্রাবাদ চৌমুহনী মোড় থেকে মিছিল শুরু করে পাঠানটুলী রোড়, কদমতলী মোড়, বায়তুশ শরফ হয়ে দেওয়ান হাট মোড়ে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এসময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, যেখানে ইভিএমে ভোট হয়েছে সেখানে ইভিএম কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে। ইভিএমে সঙ্গে সঙ্গে ফলাফল আসার কথা, কিন্তু কয়েকটি কেন্দ্রে চার পাঁচ ঘণ্টা পরে ফলাফল এসেছে। এখানে পুনর্গণনার সুযোগ নেই। ভোট নিয়ে ইসি যে তথ্য দেবে, সেটাই মেনে নিতে হবে। তাই অনেক দেশেই ইভিএম ব্যবহার থেকে সরে এসেছে।

এতে প্রধান বক্তার বক্ত‌ব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির সদস‌্য স‌চিব আবুল হা‌শেম বক্কর ব‌লেন, বর্তমান সরকার জনস্বার্থকে তাচ্ছিল্য করতে কোন দ্বিধা করে না। জনগণের ক্রয়ক্ষমতার কথা বিবেচনা না করেই নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করেছে। জ্বালানী তে‌লের ক্ষে‌ত্রে সরকার প্রধান দে‌শে জ্বালানী সংকট নেই ব‌লে এক সাপ্তাহের ম‌ধ্যে দাম বৃ‌দ্ধি ক‌রে‌ছে। এই সরকার জা‌তিকে নি‌য়ে তামাশা শুরু ক‌রে‌ছে। এ‌দের বিরু‌দ্ধে জনগণ জে‌গে উ‌ঠে‌ছে।

ডবলমুরিং থানা বিএনপির সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর মো. সেকান্দরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাজী বাদশা মিয়ার পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আহবায়ক কমিটির সদস্য নিয়াজ মো. খান, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, কেন্দ্রীয় মহিলাদলের যুগ্ম সম্পাদক ফাতেমা বাদশা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, সদরঘাট থানা বিএনপির সভাপতি হাজী মো. সালাউদ্দীন, মহানগর বিএনপি নেতা মাহবুবুল হক, ইকবাল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ভুলু, বুলবুল আহম্মেদ, মহানগর তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফয়েজুল ইসলাম, এস এম ফরিদুল আলম, হাজী মো. মহসিন, এস এম জামাল উদ্দিন জসিম,  সাধারণ সম্পাদক মন্জুর মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, থানা বিএনপির সি. যুগ্ম সম্পাদক জাহেদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নুর উদ্দিন সোহেল, মো. ইকবাল, মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি মিয়া মো. হারুন, মুজিবুল হক জঙ্গল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি খায়রুল আলম দিপু, মো. পারভেজ, মো. আসলাম, মাঈনুউদ্দীন রাশেদ, যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, মো. আলমগীর, মো. রাসেল, থানা অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ নজরুল ইসলাম নিয়াজী, বজল আহম্মেদ, তাজুল ইসলাম, আকতার হোসেন, নোমান শিকদার সোহাগ, মো. হান্নান, মো. তারেক প্রমূখ।