পেকুয়ায় ইভটিজিং করার দায়ে ১জনকে ১বছর কারাদন্ড

কক্সবাজার, পেকুয়া : কক্সবাজারের পেকুয়ায় ইভটিজিং করার দায়ে ১জনকে ১বছর কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রামমান আদালত। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট পূর্বিতা চাকমা ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাকে এ সাজা দেন। । দন্ডীত ব্যাক্তি আমির হোছাইন টেকনাফ উপজেলার হাতিয়ার ঘোনা এলাকার নাজির আহমদের ও মেহের খাতুনের ২য় সন্তান । টইটং জামিয়াতুল আল আফকার ইসলামীয়া নুরানী মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করার দায়ে দন্ড বিধি ১৮৬০ এর ৫০৯ ধারায় আমির হোছাইন নামে ওই ইভটিজারকে ১বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয় ভ্রাম্যমান আদালত।

স্থানীয়রা জানায়,আমির হোসেনের বাড়ি টেকনাফ উপজেলায়। সে গত পনের মাস আগে টইটং জামিয়াতুল আল আফকার নুরানী মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। সে মাদরাসার একাধিক শিক্ষার্থীকে অশালীন আচরন করেন ও ছাত্রীদের নিয়ে খারাপ কর্মকান্ড মুঠোফোনে ভিডিও ধারন করেন। পরে ব্ল্যাক মেইলিং করে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করতো। ভিকটিম শিক্ষার্থীর খারাপ একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়। তবে ওই শিক্ষার্থী বর্তমানে অন্য মাদরাসায় পড়ালেখা করছে।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা ও পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ফরহাদ আলী এবং টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনাস্থলে গিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীর অভিভাবক ও ওই শিক্ষকের সাথে কথা বলেন। পরে ওই শিক্ষকের মোবাইল ফোনে ইভটিজিং এবং উত্যক্তের মোবাইলে ধারণকৃত বিভিন্ন ভিডিও চিত্র পাওয়া যায়। এসময় ওই মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় পুলিশ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষক আমির হোসেন (২৮) কে টইটং জামিয়াতুল আল আফকার ইসলামীয়া নুরারী মাদরাসা থেকে আটক করেন।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.ফরহাদ আলী জানায়,আমির হোসেন নুরারী মাদরাসার শিক্ষক। ওই মাদরাসার এক শিক্ষার্থীকে সে প্রায় সময় উত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট পূর্বিতা চাকমা বলেন, সে একজন মাদ্রাসার শিক্ষক তাও মৌলভী। আমরা তাদের বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা এ ধরণের ইভটিজিং ও উত্ত্যক্ত করে হয়রানি হবে তা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। সে তার মুঠোফোনে এক ছাত্রীর অশ্লীল ভিডিও ধারন করে। পরে বø্যাক মেইলিং করার সত্যতা পাওয়ায় তাকে এক বছরের কারাদন্ড দিয়েছি।